কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস (৫০) নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর মাঝখান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার।
নাসির উদ্দিন বিশ্বাস উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি নাউতি গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের ছেলে।
জানা গেছে, নাসির উদ্দিন বিশ্বাস গ্রামের বাড়ি নাউতি থেকে রাতে কুষ্টিয়া শহরের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কস্থ সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর মাঝখানে তাকে পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ নম্বরে কল দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে দুর্বৃত্তের হামলা নাকি সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের ভাতিজা বাবু মুঠোফোনে জানান, চাচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া শিলাইদহ ঘাট ও বালুমহাল ইজারা পেয়েছিলেন চাচা। এ নিয়ে পরিকল্পতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। দুর্ঘটনা হলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান আঘাত পাওয়ার কথা। কিন্তু তা নেই, শুধু বুকে আর মাথায় আঘাত রয়েছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি অনেক দূর ছেঁচড়ে গিয়েছিল। মাথায় হেলমেট ছিল না। মাথার পেছনে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই নাসির উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছিল। রাত সোয়া ১১টার দিকে মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার বুক ও মাথায় আঘাতের দাগ রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম