সুন্দরবনের পর্যটক প্রবেশে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে সুন্দরবনে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ। শুক্রবার (২ এপ্রিল) থেকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। তবে মৌয়াল বা জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকবে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এজন্য ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবন ভ্রমণ করতে না আসার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করা হলো।
খুলনা সার্কেলের বনসংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একে একে সবগুলো পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনের পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম জোন মিলিয়ে সাতটি পর্যটন স্পট রয়েছে। যার মধ্যে পশ্চিমে ২ টি এবং পূর্বে ৫টি স্পট অবস্থিত। এগুলো সবই আজ থেকে বন্ধ থাকবে।
করমজল বন্যপ্রাণী ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির বলেন, গত ২৬ মার্চ শুক্রবারের পর থেকেই পর্যটকদের আনোগোনা এমনিতেই কমে গেছে। মুলত: করোনার প্রকোপ বাড়াতে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা ও আক্রান্ত ঝুঁকির আশংকায় লোকজন আসা কমে গেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, সন্ধ্যায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) স্যার ফোন করে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের ক্ষেত্রে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সুন্দরবনের সকল পর্যটক স্পর্ট বন্ধ রাখা হবে। কোন পর্যটক কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান বন বিভাগীয় এ কর্মকর্তা।
প্রতিবছর দেশি-বিদেশি প্রায় ২ লাখ পর্যটক সুন্দরবনে ঘুরতে আসেন। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরও সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ছিল। তারপরও ১ লাখ ৭২ হাজারের মতো পর্যটক এসেছিল গতবছর। মূলত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটনের মৌসুম। এ সময়ে পর্যটকরা বেশি আসে সুন্দরবনে। সেটি মার্চ পর্যন্ত গড়ায়।
খুলনা গেজেট/কেএম/এমএইচবি