খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ মে, ২০২৪

Breaking News

  সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখালো যশোর-চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৮ ও খুলনায় ৪২
  সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন
যশোর পুলিশের প্রেসব্রিফিং

শার্শায় পরকীয়ার কারণে খুন হন যুবক ইসরাফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইসরাফিল হোসেন হত্যা রহস্য উন্মোচন হয়েছে। প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমের কারণে তাকে হত্যা করা হয় বলে ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে খুনী চত্রের সাথে দেড় লাখ টাকা হাত বদল হয়।

গত ২৭ আগস্ট বাড়ি থেকে ডেকে এনে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় যুবক ইসরাফিল হোসেনকে। পরে তার লাশ গ্রামের একটি কবরস্থানের মাটি খুড়ে চাপা দেয় খুনিরা। পুলিশ ঘটনার সাতদিন পর তিনজনকে আটক করার পাশাপাশি লাশটি উদ্ধার করে।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাহাঙ্গীর আলম। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে বিড়ি শ্রমিক ইসরাফিল হোসেন নিখোঁজ হন। পরে ২৯ আগস্ট তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি (নম্বর-১১৭৫) করা হয়।

যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেহজনকভাবে একই গ্রামের নুর আলম (৪২), মোশারফ হোসেন (৪৫) ও মর্জিনা বেগমকে (৩২) আটক করেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর কবরস্থানে পুঁতে রাখা ইসরাফিলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, আটক মর্জিনার এক ভাই বিদেশে থাকেন। তার স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইসরাফিল। এ জন্য তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মর্জিনা। হত্যার জন্য তিনি মোশারফের সাথে দেড় লাখ টাকা চুক্তি ও প্রদান করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরাফিলকে বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে এনে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাকে মাদক সেবন করিয়ে অজ্ঞান করা হয়। এ হত্যা মিশনে অংশ নেন নুর আলম ও মেহেদী নামে এক যুবক। মেহেদী ওই গ্রামে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করেন। তবে তাকে এখনো আটক করা যায়নি।

এদিকে, ইসরাফিল হত্যার ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা করেছেন নিহত ইসরাফিলের স্ত্রী রোজিনা বেগম। মামলায় আটক তিনজন ছাড়া আরও তিনজন ও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপন কুমার সরকারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!