খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  বুড়িমারী এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ

ডুমুরিয়ায় ভূয়া সনদপত্র দিয়ে চাকুরি

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

খুলনার ডুমুরিয়ার রংপুর কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর বিরুদ্ধে ভূয়া নাম ও জন্ম তারিখ জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তন করে চাকুরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে এলাকার কার্ত্তিক জোদ্দার নামে এক ব্যক্তি রংপুর কলেজ অধ্যক্ষ এবং জেলা ম্যাধমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগ এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রংপুর গ্রামের মৃত দিগম্বর জোদ্দারের ছেলে চন্ডীচরণ জোদ্দার ওরফে তাপস জোয়াদ্দার ১৯৫৮ সালের ৩১ মার্চ জন্ম গ্রহন করেন।স্কুল জীবনে তিনি খুলনা নগরীর দৌলতপুর মহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। ওই বিদ্যালয় থেকে চন্ডী চরণ নামে তিনি ১৯৭৩-৭৪ শিক্ষা বর্ষে নবম-দশম শ্রেণীতে যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে রেজিস্ট্রেশন করেন। যার রেজি:নম্বর ১৪৮১৪,শিক্ষা বর্ষ- ১৯৭৩-৭৪,রোল নং ১১৪৭, জন্ম তারিখ-৩১-০৩-১৯৫৮।

কিন্ত অভিযোগ উঠেছে চন্ডীচরণ জোদ্দার তার নাম ও জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তাপস জোদ্দার নাম ধারণ করে গত ১৯৯২ সালের ৭সেপ্টেম্বর তারিখে রংপুর কালীতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ এবং তার জন্ম তারিখ ১৯৬৪ সালের ৭জুন মর্মে স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষাগত যোগ্যেতার একটি ভূয়া সনদ দিয়ে রংপুর কলেজে মালি পদে চাকুরী করে আসছেন।

এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারী কার্ত্তিক জোদ্দার রংপুর কালীতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং রংপুর কলেজ কর্তৃপক্ষকে আইজীবির মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে অবহিত করে ব্যবস্হা গ্রহনের জন্যে দাবী জানালেও তারা কোন ব্যবস্হা নেয়নি। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তিতে তিনি গত ১৩ ডিসেম্বর-‘২৩ তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে চন্ডীচরণ জোদ্দার ওরফে তাপস জোদ্দারের মহাসিন স্কুল জীবনের সহপাঠি রবীন্দ্রনাথ মল্লিক জানান, চন্ডীচরণ তার এক বছরের সিনিয়র হলেও ১৯৭৬ সালে এসে তারা একই সাথে এসএসসি পাশ করেন। যদিও তার ডাক নাম ছিলো তাপস।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে চন্ডীচরণ জোদ্দার ওরফে তাপস জোয়াদ্দারের সেল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে রংপুর কলেজ অধ্যক্ষ সমরেশ মন্ডল বলেন, তাপস জোদ্দার ১৯৯৫ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারি হিসেবে চাকুরি করে আসছেন। আমি কলেজে যোগদান করেছি ২০১৬ সালে। আর তিন মাস পরে সে (তাপস) অবসরে যাবে।তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এতদিনেও কেন তার বিরুদ্ধে এ নিয়ে কোন ব্যবস্হা নেয়নি তৎকালিন কলেজ কর্তৃপক্ষ?

এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজ বলেন,কলেজ সমুহের নিয়ন্ত্রণ অথরিটি মুলত ডিজি মহোদয়। আমরা শুধু মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অভিযোগ গুলো আমলে নিতে পারি। যে কারণে অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে আমাদের কিছুই করণীয় নেই।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!