খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ মে, ২০২৪

Breaking News

  সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখালো যশোর-চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৮ ও খুলনায় ৪২
  সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

ডাকাতি মামলায় চাকরিচ্যুত দুই পুলিশসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

Jashor MAp

যশোরের বাঘারপাড়ার ডাকাতি মামলায় চাকরিচ্যুত দু’পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম।

অভিযুক্তরা হলেন, নড়াইল সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের মৃত মুক্তার হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের জমাত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, যশোরের শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামের নাজির উদ্দিন শেখের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলামের ছেলে কামরুজ্জামান, রবিউল ইসলামের ছেলে রুহুল কুদ্দুস ওরফে আব্দুল কুদ্দুস, আমির আলী গোলদারের ছেলে ফজলু গোলদার ওরফে ফজলুর রহমান, মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের মৃত নিতাই চন্দ্র দত্তের ছেলে শ্রীরাম প্রসাদ দত্ত ওরফে রাম বাবু, মাগুরার শালিখা উপজেলার গোপাল গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে সোহেল রানা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা শিবতলা এলাকার মৃত ফজর আলী গাজীর ছেলে ওবাইদুলাহ, শ্যামনগর উপজেলার বরুলিয়া গ্রামের অনাথ বৈদ্যের ছেলে নওমুসলিম ইব্রাহিম, তালা উপজেলার সুজনসাহা এলাকার বিশ্বরঞ্জন ঘোষের ছেলে সন্তু ঘোষ ওরফে পিন্টু, যশোরের শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামের আব্দুল গনি বিশ্বাসের ছেলে হুমায়ুন কবির ওরফে কবির হোসেন, চৌগাছা উপজেলার জামালতা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে চাকরিচ্যুত সাবেক এএসআই জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলার শমসপুর গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন মনা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাটিয়া দক্ষিণপাড়ার মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে বাবু।

মামলার বিবরণে ও ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১২ আগস্ট ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দাহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন সঙ্গী আশরাফুজ্জামানকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়ায় ডাকাত দলের কবলে পড়েন। একটি প্রাইভেটকার ও একটি মাইক্রোবাসে করে আসা ডাকাতরা গতিরোধ করে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে ধরে নিয়ে যায়। পরে ডাকাতরা তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা লুট করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সুকদেবনগর এলাকায় এসে গাড়ি থেকে ইকবাল হোসেন ও আশরাফুজ্জানকে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় একটি মাইক্রোবাসসহ চার ডাকাতকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান রয়েছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন বাঘারপাড়া থানায় মামলা করলে তদন্তকালে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতরা ডিবি ও র‌্যাব পরিচয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে ডাকাতি করে। মূলত ডাকাতরা পাচারকারীদের কাছ থেকে সোনারবার লুট করে থাকে। ইকবাল হোসেনদের গাড়িতে সোনা রয়েছে এমন তথ্য পেয়ে ডাকাতরা তাদের ওপর চড়াও হয়। কিন্তু ওই গাড়িতে লুব্রিকেন্ট ছিল।

এক পর্যায়ে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী যশোরের চৌগাছা উপজেলার জামালতা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে চাকরিচ্যুত পুলিশের এএসআই জসিম উদ্দিন। পরে তার চৌগাছা বাজারের বাড়িতে অভিযান চালালেও তাকে আটকে ব্যর্থ হয় ডিবি পুলিশ। তবে বিভিন্ন সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সাথে জড়িত আরও সাতজনকে আটক করা হয়।

এছাড়া, তদন্তে ডাকাতি, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী হিসেবে আরও আটজনের নাম উঠে আসে। এরপর মামলার তদন্ত শেষে উলি­খিত ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে রোববার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের এস আই মফিজুল ইসলাম।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!