খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে : ইসি রাশেদা
  ময়মনসিংহে বাসের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
  বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকচাপায় নিহত ৩, আহত আরও ২ জন
  গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পদত্যাগ

চুল সোজা করার পদ্ধতিতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে নারীদের, পুড়তে পার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এক নারী প্রতিনিয়ত বিউটি পার্লারে গিয়ে চুল সোজা করতেন। এ কাজের ফলে ওই নারী এখন কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এ নিয়ে এক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত গবেষণায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে ওই নারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। খবর ইকোনোমিক টাইমস

গবেষণায় বলা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী ওই নারী একাধিকবার চুল সোজা করার জন্য বিউটি পার্লারে যান। ২০২০ সালের জুন, ২০২১ সালের এপ্রিল এবং ২০২২ সালের জুলাইয়ে ওই নারী পার্লারে গিয়ে চুল সোজা করার পদ্ধতি গ্রহণ করেন। এ সময়ে তার শরীরে কোনো ধরনের সমস্যা ছিল না। কিন্তু চুল সোজা করার পদ্ধতি গ্রহণ করার পরই সে শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখতে পায়। যার মধ্যে রয়েছে- বমি, ডায়রিয়া, জ্বর এবং ব্যাক পেইন। তিনি যখন চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তখন ডাক্তারকে মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও তথ্য জানান।

পরবর্তীতে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের উপস্থিতি পায় এবং প্রস্রাবেও রক্তের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরই চিকিৎসক তার কিডনির সমস্যার বিষয়টি বুঝতে পারেন। কিডনিতে বড় কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা তা জানার জন্য ওই চিকিৎসক সিটি স্ক্যানও করেন। কিন্তু সেখানে বড় কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি।

ওই নারী চিকিৎসককে জানান, তিনি চুল সোজা করার জন্য বিউটি পার্লারে গিয়ে গ্লাইঅক্সিলিক অ্যাসিড ব্যবহার করতেন। এই কেমিক্যাল ব্যবহারের জন্যই তার মাথার ত্বক পুড়েছে বলে জানায় চিকিৎসকরা।

গ্লাইঅক্সিলিক অ্যাসিড ব্যবহারের তথ্য জানানোর পরই গবেষকরা ইঁদুরের ওপর এর পরীক্ষা চালায়। এতে দেখা গেছে ত্বকের মাধ্যমে ইঁদুরের কিডনি আক্রান্ত হচ্ছে। পরে গবেষকরা ওই নারীর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রকৃত কারণ খুঁজে পায়।

ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন এন্ড ফার্মাসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জোসহুয়া ডেভিড কিং বলেন, এ ধরনের পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যারা এই পণ্য উৎপাদন করেন তাদের বিকল্প পণ্য বাজারে আনতে হবে।

নারীদের চুল সোজা করার পদ্ধতি ১৮৯০ সাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এই গবেষণা এটাই প্রমাণ করে চুল সোজা করার জন্য যেসব পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে তার স্বাস্থ্যগত মান অবশ্যই পরীক্ষা করে নিতে হবে।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!