খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৭ মে, ২০২৪

Breaking News

  চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ট্রাকের সঙ্গে ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
  রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

কলকাতা-খুলনা নৌরুটে ঝুঁকিমুক্ত করতে আইডব্লিউটিএ’র ১২৫ টি বাঁশের মার্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত নৌ-রুটের বিভিন্ন স্থানে চরা পড়ায় শুষ্ক মৌসুমে ১২ ফুট গভীরতা নৌযানগুলোকে ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। বাংলাদেশ নৌ সীমান্তের খুলনার কয়রা উপজেলার আংটিহারা থেকে খুলনা নদী বন্দর পর্যন্ত নৌপথ ঝুঁকিমুক্ত করতে আই ডব্লিউ টি এ’র ১২৫টি বাঁশের মার্কা দিয়ে চরা স্থান চিহ্নিত করেছে। খুলনা থেকে আংটিহারা নৌ সীমান্ত পর্যন্ত ১২২ কিলোমিটার নৌপথে প্রতি মাসে ৪শ’ নৌ-যান পণ্য পরিবহন করে।

ভারত সীমান্ত অতিক্রম করার পর খুলনা পর্যন্ত আসতে রায়মঙ্গল, কাসিকাটা ,যমুনা ভারাটি,মালঞ্চ, দোবাকি,আড়পাঙ্গাশিয়া, শাকবাড়িয়া, সিঙ্গেরনালা, আড়ুয়াশিবসা ,চুনকুড়ি,শিবসা,পশুর ও কাজিবাছা নদী অতিক্রম করতে হয়।এসব নদী পথের সিংয়ের নালা, বজবজা, চালনা পল্টনের সামনে, বটবুনিয়া লঞ্চঘাট, কালীবাড়ি লঞ্চ ঘাটের পাশে, কলাগাছিয়া, দোবাকি,মুচিরদুয়ানি নামক স্তনের চরা পড়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ পশ্চিম বদ্বীপ শাখা যুগ্ম পরিচালক মোঃ আশরাফ হোসেন গত ১২ ডিসেম্বর নৌযান চালকদের কাছে পাঠানো এক সতর্ক বার্তায় চরা পড়া স্থানে সাবধানে চলাচল করতে বলেছেন। দুর্ঘটনা এড়াতে আংটিহারা থেকে খুলনা পর্যন্ত ১২৫টি বাঁশের মার্কা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৬৫টি ডায়মন্ড মার্কার স্থাপন করা হয়েছে।

কলকাতা হলদিয়া বন্দর থেকে চাল , গম, ফ্লাশওয়াস, পাথরের গুড়া, ভুট্টা ইত্যাদি পণ্য নৌযানে করে আংটিহারা সীমান্ত অতিক্রম করে খুলনার ৪ ও ৭ নম্বর ঘাটে পৌঁছে।আই ডাব্লু টি এ’র পরিদর্শক জালাল উদ্দিন তথ্য দিয়েছেন ,পূর্ণ জোয়ার ছাড়া এসব স্থানে দিয়ে নৌযান চলাচল করা সম্ভব হয় না।আংটিহারা থেকে বাংলাদেশি পাইলট এর সাহায্যে খুলনার ৪ ও ৭ নম্বর ঘাটে পণ্য বোঝাই নৌযান আনতে হয়।

৭ নম্বর ঘাটে অবস্থানরত ভারতীয় জাহাজ এমভি আরতির মাস্টার রফিকুল শেখ জানান, কলকাতার খিদিরপুর থেকে খুলনা নদী বন্দর পর্যন্ত আসতে তিন সপ্তাহ সময় লেগেছে।

তিনি জানান,শাকবাড়িয়া,বটবুনিয়া,চালনা, লবণচরার কাছে বিভিন্ন স্থানে চরা পড়েছে। দুই হাজার মেঃ টন সরকারি চাল নিয়ে তিনি খুলনা বন্দর এসেছেন । আংটিহারা থেকে খুলনা পর্যন্ত নৌ পথ চরার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

ভারতীয় অপর একটি জাহাজ প্যাসিফিক নেভিগেশনের মাস্টার শিপন সাহা জানান, খিদিরপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত আসতে পাঁচ দিন সময় লেগেছে। তিনি বলেন, জোয়ার ছাড়া ১২ ফুটের নৌ-যান চালানো সম্ভব হয় না। এছাড়া বিদেশি চালকদের সন্ধ্যার পরে জাহাজ চালানো নিষেধ। তিনি ১ হাজার ৭৫৫ মেট্রিকটন সরকারি চাল নিয়ে নভেম্বরের প্রথম দিকে নদী বন্দরে এসে পৌঁছান। চাল খালাস করতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যায়।

ভারতের জাহাজ চালকরা জানিয়েছেন, চরার কারণে এ নৌরুট অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।তাই ঝুঁকি এড়াতে আই ডব্লিউ টি এ বিভিন্ন স্থানে বাঁশের মার্ক দিয়েছে।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!