যশোরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে ১৩ যুবক ও তিন কিশোরকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন এসআই খালিদ হোসেন ।

আটককৃতরা হলো, শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার জামালের ছেলে রানা হোসেন, সাদেক আলী ফকিরের ছেলে রানা, মৃত কবীর শেখের ছেলে হাসিব শেখ, বটতলা এলাকার লিটনের ছেলে নয়ন, ছোটনের মোড়ের শাহাজান মোল­ার ছেলে মুরাদ মোল­া, নতুন টার্মিনাল এলাকার জলিলের ছেলে ইমন, মুরগি ফার্ম গেটের লিয়াকতের ছেলে ইব্রাহিম, আকবরের মোড়ের রেজাউলের ছেলে নাহিদ, আশ্রম রোডের নুর ইসলামের ছেলে আল আমিন, জমাদ্দারপাড়ার মৃত কবীর হোসেনের ছেলে অভিষেক, বটতলা মসজিদ এলাকার আমিরুল মোল্লার ছেলে মোহিন মোল্লা, একই এলাকার লাবলু গাজীর ছেলে রাব্বী গাজি, মেডিকেল কলেজ রোডের মোশারেফের ছেলে আজগর। আটক কিশোরদের মধ্যে রয়েছে, কলেজ রোডের নাজমুল শেখের ছেলে আশিক শেখ, একই এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে রাসেল ও ছোটনের মোড়ের মুরাদের ছেলে হৃদয়।

মামলায় বাদী বলেছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তারা খবর পান শংকরপুর ইসহাক সড়কের একটি সেলুনের সামনে একদল উঠতি বয়সি যুবকেরা নিজেদের ক্ষমতা পদর্শণের জন্য দেশিয় ধানালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে জনগনের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এরই ভিত্তিতে তিনিসহ এসআই আফম মনিরুজ্জামান, কাজী আবু জোবায়ের, আবুল হাসান, রেজাউল করীম, মহিউদ্দিন, শংকর বিশ্বাস, তাপস মন্ডল, আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, বিমান তরফদার, এএসআই কাবিল হোসেনের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম ওই এলাকায় অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ওই ১৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে রানা, হাসিব শেখ, নয়ন ও রানা হোসেনের প্রত্যেকের কাছ থেকে একটি করে বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।

উলে­খ্য, যশোরে আফজাল হত্যা ও কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান বাবুলের উপর হামলাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মাঝে।