ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে খুলনার জনজীবন একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠান্ডার কারণে সবার অবস্থা নাজেহাল। প্রচণ্ড ঠান্ডায় স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার (২২ জানুয়ারি) খুলনা জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা করেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে বিদ্যালয় বন্ধ করা হবে বলে জানান প্রধান শিক্ষকরা। আপাতত ক্লাস শুরুর সময় পরিবর্তন করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে অভিভাবকরা বলছেন, তীব্র এই শীতে সকালে সন্তানদের স্কুলে আনা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে ।
সোমবার সকালে ন্যাশনাল গার্লস হাই স্কুলসহ বেশ কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানকার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রয়েছে। কিন্তু শ্রেণি কক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কম।
ন্যাশনাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার মন্ডল খুলনা গেজেটকে বলেন, বন্ধের কোনো নির্দেশনা থাকায় স্কুল খোলা রয়েছে। শীতের কারণে ক্লাসে উপস্থিতি কম।
তিনি আরও জানান, তীব্র শীতে জ্বর-র্সদিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
আন্জুম বেগম নামে এক অভিভাবক খুলনা গেজেটকে বলেন, নতুন কারিকুলামে ক্লাস মিস দিলে সমস্যা। তাই প্রচন্ড শীতের মধ্যে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে আসতে হচ্ছে। ভোরে শীতের মধ্যে স্কুল আসা বাচ্চাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় একটি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক খুলনা গেজেটকে বলেন, আমাদের প্রথম শিফট সকাল সাড়ে সাতটায় শুরু হয়। কিন্তু শীতের কারণে আমরা কিছুটা বিলম্বে ক্লাস শুরু করছি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়লে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, আজ সোমবার খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘ এবং বাতাস থাকায় শীত একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামীকাল তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
সকাল থেকে সূর্যের দেখা না পাওয়ায় খুলনা শহরের সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম দেখা গেছে। শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা।
খুলনা গেজেট / এএজে