প্রথম ওয়ানডেতে আগে বোলিংয়ে নেমে ভালোই সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে ফেলেছিল। সে ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে বোলিংয়ে নেমে দারুণ সাফল্য পায় লাল-সবুজের দল। স্পিনারদের দাপটে স্বাগতিকরা অল্পরানে গুটিয়ে যায়। মাত্র ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ক্যারিবীয়রা।
অবশ্য শুরুতে খুব একটা সাফল্য পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ১১তম ওভারে গিয়ে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সাজঘরে ফেরান কাইল মায়ার্সকে। সাজঘরে ফেরার আগে মায়ার্স ৩৬ বলে বলে ১৭ রান করেন।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্য আরও দুটি উইকেট তুলে নেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় শামার ব্রুকসকে এবং ৪২ রানের মাথায় শাই হোপকে আউট করেন তিনি। তাই শুরুটা কিছুটা সতর্ক হলেও হঠাৎ চাপে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা।
শামার ৫ এবং হোম ১৮ রান করে আউট হন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে অধিনায়ক নিকোলাস পুরান কোনো রান করে সাজঘরে ফেরেন নাসুমের তৃতীয় শিকার হয়ে। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় পেসার শরিফুল ইসলাম তুলে নেন পঞ্চম উইকেট। তিনি রোভম্যান পাওয়েলকে (১৩) আউট করেন মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে।
দলীয় ৭২ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে। মিরাজ ফেরান ব্রেন্ডন কিংকে। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ১১ রান। পরের বলে আকিল হোসেন রান আউট হন। ইনিংসের শেষ এবং ব্যক্তিগত চতুর্থ উইকেট তুলে নেন সিরাজ। গুড়াকেশ মোটিকে আউট করেন তিনি।
এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট পেতে পারতেন পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলেই। ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গিয়ে খেলতে গিয়ে বল মিস করেছিলেন শাই হোপ। বল গ্লাভসে নিতে পারেননি বাংলাদেশের উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। বল না ধরেই স্টাম্প ভেঙেছেন। তাই দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন শুরুতেই।
আজ বুধবার গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ এক পরিবর্তন নিয়ে বোলিংয়ে নামে। অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নেওয়া হয় পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায়। কন্ডিশনের কারণেই নাকি দলে এই পরিবর্তন আনা হয়।
এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারলেও ওয়ানডেতে অন্যরূপে বাংলাদেশ। বেশ উজ্জিবীত লাল-সবুজের দল।
তাছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা নয়টি ওয়ানডে জিতেছে বাংলাদেশ। এদিন জিতলে রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ হবে এবং সিরিজও নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। ২০১৮ সালের পর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে কোনো ওয়ানডেতে হারেনি বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪২টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে ১৯টি, হেরেছে ২১টিতে। দুটি পরিত্যক্ত হয়। দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারের ব্যবধান কমানোর জন্য এই সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য ভালো সুযোগ।