ব্যবসায়িক লাভের আশায় ঈদকেন্দ্রিক সিনেমা মুক্তির চর্চা বহু বছরের। বছর জুড়ে যেসব বড় আয়োজনের সিনেমা নির্মাণ হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই দুই ঈদে মুক্তির টার্গেট থাকে। কারণ, ঈদ উৎসবে একটা বড় দর্শক মহল থাকে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার।
তাই নির্মাতা-প্রযোজকরা বছরের দুই ঈদকে টার্গেট করেই বেশির ভাগ সিনেমা মুক্তি দিতে চান। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে ২০৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ১১টি সিনেমা।
সিনেমাগুলো হলো- ‘রাজকুমার’, ‘কাজলরেখা’, ‘ওমর’, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘জ্বীন–২’, ‘আহারে জীবন’, ‘লিপস্টিক’, ‘সোনার চর’, ‘গ্রিন কার্ড’, ‘মায়া দ্য লাভ’ ও ‘মেঘনা কন্যা’।
এছাড়া মোহাম্মদ ইকবাল প্রযোজিত ও পরিচালিত ‘ডেড বডি’ এবং ‘পটু’ নামে দুটি সিনেমা নিয়ে আলোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মুক্তির তালিকা থেকে সরে গেছে। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিন পর ঈদে ঢালিউডে সিনেমা মুক্তির সংখ্যায় রেকর্ড গড়ল।
পরিবেশনা প্রতিষ্ঠানের হিসাব মতে, একক ও মাল্টিপ্লেক্স মিলে রেকর্ডসংখ্যক ১২৭টি হলে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’। ১১৭টি একক হল ও মাল্টিপ্লেক্সের ১০টি পর্দায় চলবে সিনেমাটি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল পেয়েছে মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ও শরীফুল ইসলাম রাজ অভিনীত ‘ওমর’। ২১ হলে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এর মধ্যে ১৩টি একক হল ও মাল্টিপ্লেক্স ৮টি।
এছাড়া ‘কাজলরেখা’ মুক্তি পেয়েছে শুধু মাল্টিপ্লেক্সের সাতটি হলে। একক হল ও মাল্টিপ্লেক্স মিলে ১৩টি হলে মুক্তি পেয়েছে ‘দেয়ালের দেশ’। এই দুটি সিনেমার নায়কও শরীফুল রাজ। একক ও মাল্টিপ্লেক্স মিলে আটটি হলে মুক্তি পেয়েছে পূজা চেরি অভিনীত ‘লিপস্টিক’।
অন্যদিকে নওশাবা অভিনীত ‘মেঘনা কন্যা’ শুধু মাল্টিপ্লেক্সের পাঁচটি হলে মুক্তি পেয়েছে। জায়েদ খানের ‘সোনার চর’ মুক্তি পেয়েছে একক ও মাল্টিপ্লেক্স মিলে সাতটি হলে। ‘আহারে জীবন’ মুক্তি পেয়েছে মাল্টিপ্লেক্সের পাঁচটি হলে। অনেক দিন পর এই সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।
মাল্টিপ্লেক্স ও একক মিলে পাঁচটি হলে মুক্তি পেয়েছে কাজী মারুফের ‘গ্রিন কার্ড’। এছাড়া নবাগত সুপ্রভাত অভিনীত ‘জ্বীন–২’ মাল্টিপ্লেক্সের ছয়টি হল পেয়েছে। একক ও মাল্টিপ্লেক্স মিলে ৯টি হলে দেখা যাচ্ছে জিয়াউল রোশানের ‘মায়া: দ্য লাভ’।
খুলনা গেজেট/এএজে