অভয়নগরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে পায়রা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই ষাঁড়ের লড়াই দেখতে রবিবার বিকেল উপজেলার পায়রার ঘোড়াদাইড় মাঠে বসে নারী-পুরুষ,শিশু-কিশোরের মিলন মেলা অংশ গ্রহণ করে।
এবারের এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক ষাঁড় অংশ নেয়। পায়রাবাজার উন্নয়ন কমিটি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এবারের লড়াইয়ে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে নজরুল ফকিরের বুনো ষাঁড়। পুরস্কার হিসেবে এটির মালিককে
দেওয়া হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে ঘোড়াদাইড় গ্রামের হোসেনের ষাঁড়। এটির মালিক পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা। ৩য় পুরস্কার ৫ হাজার টাকা। ৪র্থ পুরষ্কার ৫ টাকা করে দেয়া হয়েছে।
এক সময় গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় খেলা ছিল ষাঁড়ের লড়াই। দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হত এ গ্রামীণ খেলাটি। এমন কোনো জেলা নেই যেখানে প্রতি বছর কমপক্ষে একবার ষাঁড়ের লড়াই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো না। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার বিবর্তনে দিন বদলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ খেলাধুলা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি প্রতি বছর যশোর অভয়নগর উপজেলা পায়রা এলাকার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ডুমুরিয়া থেকে ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আসা দর্শক সবুর হোসেন বলেন, ষাঁড়ের লড়াই আমাদের একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। এখনো যে এ খেলা হারিয়ে যায়নি এটি আমাদের ভাগ্য।
পুরস্কার বড় কিছু নয় দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার জন্যই হাজার হাজার টাকা খরচ করে ষাঁড়ের লড়াইয়ে অংশ নেন এমন
মন্তব্য একটি ষাঁড়ের মালিক গাজীপুরের আব্দুল্লাহ ইসলামের।
আয়োজক কমিটির প্রধান ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটিকে ধরে রাখতেই আমাদের এ আয়োজন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার মেজাবাহ উদ্দিন, অভয়নগর থানার অফিসার ইনর্জাজ একেএম শামীম হাসান, নওয়াপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল হাসান, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক,সাধারণ সম্পাদক মোজাফফার আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ তাজ, দফতর সম্পাদক শাহিন হোসেন,ইউপি চেয়ারমান মফিজউদ্দিনসহ উপজেলা সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস