সোমবার । ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ । ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

কৃষিতে বদলে দিচ্ছে নড়াইলের অর্থনীতির চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, নড়াইল

নড়াইলের তুলারামপুর ও চাঁচড়া এলাকায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে সফল হয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সবুজ গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে টমেটো। থোকায় থোকায় টমেটোর ভারে যেন গাছ নুইয়ে পড়ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় টমেটো চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় আরও অনেক কৃষক এই চাষে ঝুঁকছেন।

ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প (ডিএই অংশ) নড়াইল সদর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে পলিশেডে গ্রীষ্মকালীন বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি, অনুকূল আবহাওয়া এবং সঠিক পরিচর্যার কারণে এ বছর ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শে প্রথমবারের মতো চাষ করে খরচ বাদে ভালো লাভ হওয়ায় কৃষকরা খুশি।

চাঁচড়া এলাকার কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, “আমি ২০ শতক জমিতে কৃষি অফিসের দেওয়া প্রশিক্ষণ অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। আশা করছি, বিক্রি করে খরচ বাদে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে।”

বারি-৮ টমেটো চাষে ভাগ্য খুলছে কৃষকের

অন্য কৃষক বাহারুল মোল্যা জানান, “আমি অন্যান্য ফসল চাষ করি। বাজারে টমেটোর দাম বেশি হওয়ায় এবছর গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের চেষ্টা করেছি। ফলন ভালো হয়েছে এবং খরচ বাদে যথেষ্ট লাভ হবে।”

টমেটো চাষি রানা মোল্যা আরও বলেন, “কৃষি অফিস থেকে আধুনিক চাষপদ্ধতির প্রশিক্ষণ নিয়েছি। রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করেছি। জমিতে প্রায় ৬০ হাজার টাকার খরচ হয়েছে। আশা করছি, খরচ বাদে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হবে।”

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস জানান, “এবছর তুলারামপুর ইউনিয়নে দেড় একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হয়েছে। বাজারমূল্য ভালো হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম খরচে বেশি লাভের কারণে আরও কৃষক টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এমন সফলতা কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এবং নড়াইলের কৃষি অর্থনীতির চিত্রও বদলে দিচ্ছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন