খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময়নিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট-ভিত্তিক ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে এই পদ্ধতির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস সময় যথাযথভাবে প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে এই ডিজিটাল হাজিরা চালু করা হয়েছে। এর ইমপ্যাক্ট অনেক বড়। মাস শেষে হাজিরার হিসাব প্রিন্ট দেওয়া হবে, যাতে দেখা যাবে কারা নিয়মিত ছিলেন, কারা অনিয়মিত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের দেশগুলো অনেক আগেই এ ধরনের পদ্ধতি চালু করেছে। সময়নিষ্ঠতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে এটি একটি যুগোপযোগী উদ্যোগ। আমি আশা করি, সবাই নিয়মিতভাবে নির্ধারিত সময়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী সাইফুল ইসলাম, আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ আলমগীর হোসেন, অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. হাসানুজ্জামান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ শারাফাত আলী, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মো. পারভেজ, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিজানুর রহমান খান, লিগ্যাল সেলের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম শাকিল রহমান ও অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এস্টেট শাখা প্রধান এস এম মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে প্রশাসন ভবনের বিভিন্ন শাখা প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এতদিন কাগজে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে উপস্থিতি গণনা করা হলেও যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না। এখন থেকে প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সকাল ৯টার মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে হাজিরা দিতে হবে এবং অফিস শেষে প্রস্থানকালেও একইভাবে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে এন্ট্রি বা এক্সিট করলে তা সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড হবে। পর্যায়ক্রমে এই পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে