যশোরের চৌগাছা হাসপাতালে করোনার নমুনা দিতে চাপ বেড়েছে। গত চার দিনে ৮৪ জন চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তাদের নমুনা দিয়েছেন। তবে ২১ জুনের পর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনম সেন্টারে করোনা পরীক্ষা না হওয়ায় ২১ জুন থেকে কোনো নমুনার রিপোর্ট আসেনি বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি জানান, ২১ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মোট ৮৪ জনের করোনা নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জুন ২১ জনের, ২২ জুন ২২ জনের, ২৩ জুন ২৩ জনের এবং ২৪ জুন ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ২৩ জুন ২ বারে মোট ৬৬ জন ও ২৪ জুন ১৮ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, গত কয়েকদিন জিনম সেন্টারের পরিচ্ছন্নতার জন্য নমুনা পরীক্ষা বন্ধ ছিলো। ফলে আমাদের ২১ জুন থেকে ২৩ জুুন পর্যন্ত নেওয়া নমুনা গতকাল ২৩ জুন পাঠানো হয়েছে। এ কারণে ২০ জুনের পরের নমুনার কোনো রিপোর্ট আসেনি।
বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা নমুনা সংগ্রহ বুথে রোগীদের ভিড় দেখা যায়। কেউ রয়েছেন বুথের সামনে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে, কেউ রয়েছেন ভ্যানগাড়িতে শুয়ে।
এদিকে ২৩ জুন শহরের আম্রকাননপাড়ার শামসুর রহমান (৭৫) নামে একজন গ্রাম ডাক্তার ও বাকপাড়ার হানেফ আলী (৭৬) নামে এক বাসচালক করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। ২৪ জুন সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে শহরের পশ্চিম কারিগর পাড়ার আব্দুল মুজিদ (৬৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, ‘চৌগাছার করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। অনেকেই পরীক্ষা করাতে চাচ্ছেন না। রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেন, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি কমাতে অবশ্যই চৌগাছাবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। কিন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য মানুষ বিধি-নিষেধ মানতে চাচ্ছেন না। ফলে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই