ভারতের নতুন ধরনের করোনা কোনভাবে বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্থলপথে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত ১৪ দিন বন্ধ ঘোষণা করলেও আটকেপড়া যাত্রীরা দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন।
ফেরত আসাদের বেনাপোলের সাতটি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এরা ভারতে গিয়ে করোনা পজিটিভ হন। তবে নতুন করে এ পথে কোনো পাসপোর্টধারী ভারত ও বাংলাদেশে ঢোকেনি।
নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত সময়ে ভারতে আটকে পড়া ৬৮৯ জন বাংলাদেশী বেনাপোল স্থলপথে দিয়ে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরেছেন ১০৯ যাত্রী। তবে তিন দিনে আগত বাংলাদেশীদের মধ্যে ছয় জন করোনা পজিটিভ রোগী দেশে আসে।
এদিকে চিকিৎসা শেষে হাতে খরচের টাকা না থাকায় ভারত ফেরত বাংলাদেশীরা নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অসহায় দিন পার করছেন বলে জানা গেছে। তবে সরকারি নির্দেশনা মানতে তাদের বাধ্য হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আবু তাহের বলেন, ভারত ফেরত বাংলাদেশীরা বেনাপোল বন্দর এলাকার সাতটি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সেখানে সব খরচ যাত্রীদের বহন করতে হবে। এছাড়া ফেরত আসা ছয় জন বাংলাদেশী করোনা পজিটিভ যাত্রীকে যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, বাংলাদেশী উপ-হাইকমিশনারের ছাড়পত্র থাকায় তিনদিনে আটকে পড়া ৬৮৯ জন ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন। ভারতীয় নাগরিক দেশে ফিরে গেছেন ১০৯ জন। তবে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বাংলাদেশী কোনো পাসপোর্টধারী যাত্রী নতুন করে ভারতে যায়নি এবং ভারত থেকেও ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেনি।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি