ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের স্মার্ট কার্ড বিতরণে বক্স ও কমপার্টমেন্ট নম্বর দিয়ে টাকা নেওয়ার ছবি তোলায় একাত্তর টেলিভিশনের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি ও দৈনিক যশোরের স্টাফ রিপোর্টার মিশন আলীকে লাঞ্চিত করেছে চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু। শনিবার ৯ টার দিকে রায়গ্রাম বাণীকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নাগরিকদের কাছ থেকে বক্স ও কমপার্টমেন্ট নম্বর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেয় একদল যুবক। এ সময় রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু, চান আলী নামে এক যুবককে ইউনিয়নের দফাদার দিয়ে মারধর করে। এ সময় ছবি তোলায় একাত্তর টেলিভিশনের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি ও দৈনিক যশোর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মিশন আলীর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ও লাঞ্চিত করে একটি কক্ষে আটক করে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিককে উদ্ধার করে।
সাংবদিক মিশন আলী জানায়, উপজেলার ৭ নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর লোকজন স্মার্ট কার্ড বিতরণের বক্স ও কমপার্টমেন্ট নম্বর দেওয়ার কথা বলে নাগরিকদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে নেয় এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এসময় চান আলী নামে এক যুবককে মারধর করে চেয়ারম্যানের নির্দেশে মারধর করা হয়। তখন আমি ছবি তুলি। চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চেয়ারম্যানে নিজে আমাকে একটি কক্ষে আটক করে। এ সময় চেয়ারম্যান নিজে আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি আমি অন্য সাংবাদিকদের জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে।
৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জানান, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সাংবাদিককে আটক করার ৫ মিনিট পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
কালীগঞ্জ থানার এস আই আবুল কাশেম জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একটি কক্ষে সাংবাদিককে দেখতে পাই। পরে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সাংবাদিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রাণী সাহা জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। চেয়ারম্যান তাকে বলেছেন, আটকের ৫ মিনিট পর সাংবাদিককে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।