সাতক্ষীরায় কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধানের ক্ষেতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের ভাড়ুখালী ব্লক (নিমতলা মোড়ে) এই আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়।
ধান ক্ষেতের পাশে আলোক ফাঁদ স্থাপনকালে উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে রাখেন সাতক্ষীরা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তামান্না তাছনীম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারেক কুমার বিশ্বাস, ইউপি সদস্য মুতাছিম বিল্লাহ, কৃষক গোলাম মোস্তফা, আব্দুস সামাদ, মঞ্জুর হোসেন, ময়না বিশ্বাস, আসাদুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, রাতের বেলা আলোতে অনেক পোকা আকৃষ্ট হয়। আলোকে ফাঁদ ব্যবহার করে উপকারী এবং ক্ষতিকর পাকা সহজ চেনা যায়। আলোতে আকৃষ্ট হয় পাকা উড়ে আসবে এবং আলোয় ধাক্কা খেয়ে পানির পাত্র পড়বে। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত আলোকে ফাঁদ কার্যকর থাকে। কৃষকরা যদি এ উপায় অবলম্বনে করে তবে ধান ক্ষেতে কী ধরনের পাকার আক্রমণ করছে, সে অনুযায়ী কৃষকরা জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারে। এতে তাদের না বুঝে অতিরিক্ত অর্থ নষ্টে হবে না। আলোকে ফাঁদে কখনো ক্ষেতের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না। ধান পুষ্ট হলে আর আলোকে ফাঁদ প্রয়োজন হয় না। তবে বাদামি গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণ অব্যাহত থাকলে আলোক ফাঁদেও চালিয়ে যেতে হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী ব্লক নিমতলা মোড়ে আলোক ফাঁদ স্থাপন।