ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে আনন্দঘন অনুষ্ঠান উদযাপন করেছে যশোর পুলিশ।
শহরের ঈদগাহ ময়দানে এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই ভাষণে বাঙালি নিরস্ত্র থেকে সশস্ত্র রূপ নিয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বীর বাঙালী দেশ স্বাধীন করে।
তিনি বলেন, এর আগে বাঙালি রাজনীতি বিমুখ ছিল। বঙ্গবন্ধু তার সারা জীবন শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে মহল্লায় সাধারণ মানুষ যে পাকিস্তানি শাসকদের দ্বারা শোষিত, নির্যাতিত, নিষ্পেষিত এবং তা থেকে মুক্তি পেতে মানুষকে সংগঠিত করেন। যার ফলে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি সামরিকজান্তা ক্ষমতা দিতে অস্বীকার করে। তার দূরদর্শিতা, সাহস আর সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল আজকের এ সুন্দর বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে একটি সফল আলোচিত দেশের নাম। রবিবার বিকেলে জেলা পুলিশের আয়োজনে আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনী (বিএলএফ) প্রধান আলী হোসেন মনি, সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রঙিন বেলুন উড়ানো এবং কেককাটা হয়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি