খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে বিদায়ী চেয়ারম্যান আব্দুল মুকিম সরকারের লটারী ছাড়াই অবৈধ পন্থায় ৩০ টি প্লট বরাদ্দ দেয়া, সেবার পরিবর্তে প্লটের অনুকূলে উচ্চ হারে সুদ গ্রহণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল করার আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি যে, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) বিদায়ী চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আব্দুল মুকিম সরকার দুর্ণীতির মাধ্যমে তার আত্মীয় স্বজন ও তার পছন্দের মানুষকে অনৈতিকভাবে লটারি ছাড়া ময়ূরী আবাসিকে ৩০টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ময়ূরীতে প্লটের মূল্যের ক্ষেত্রে উচ্চ হারে সুদ নিয়ে গ্রাহকদের ভীষণভাবে নাস্তানাবুদ করছেন। তিনি খুলনার উন্নয়ন ও মহাপরিকল্পনা এবং নগরায়নে মনযোগ না দিয়ে বানিজ্যিক ভাবে কেডিএ পরিচালনা করে খুলনার মানুষের ক্ষতি করেছেন এবং সরকারের প্রতি এ অঞ্চলের মানুষকে বিষিয়ে তুলেছেন। যা খুলনার গণমানুষের মনে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছেন। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুন্ন করেছে। নেতৃবৃন্দ কেডিএ’র উদ্দেশ্যে বলেন, কেউ যদি সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার এজেন্ডা নিয়ে খুলনায় এসে থাকেন তাহলে খুলনার এবং খুলনার মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে এখনই পরিহার করুন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, রূপসা বাইপাস সড়কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনবার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। সেখানে এখনও কাজ শুরু হয়নি, এর পরে নিরালা এবং গল্লামারী থেকে রায়ের মহল, ২০১৮ সালে আড়ংঘাটা থেকে রায়ের মহল ৩৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এখনও কাজ শুরু হয়নি। এই সকল রাস্তার কাজ না করার জন্য আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে অনতিবিলম্বে খুলনার মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এই সকল প্রকল্পের কাজ শুরু করার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, খুলনার মানুষের কাছ থেকে সুদ নিয়ে ব্যাংকে টাকা রেখে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছে। বিদায়ী চেয়ারম্যান আব্দুল মুকিম সরকার নাগরিক সেবার নামে খুলনার মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। যা এ অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। এই সকল অনৈতিক কর্মকান্ড পরিহার করে খুলনার মানুষের আস্থা ফিরিয়ে এনে কেডিএ’র সম্পর্কে মানুষের যাতে ভালো ধারণার সৃষ্টি হয় এবং সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য কেডিএ’র সকল স্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
এর ব্যতয় হলে আওয়ামী লীগ খুলনা মানুষকে সাথে নিয়ে কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে বিবৃতি দিয়েছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ্ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী। সূত্রঃ প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/ টি আই