খুলনায় ছুরিকাঘাতে ডলি বেগমকে (৪৫) হত্যা করেছে তার স্বামী মো. নাজমুল হাসান মোল্লা। বৃহস্পতিবার ভোরে স্বামী নাজমুল হাসান মোল্লা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি মহানগরীর লবণচরার ৪ নম্বর কাশেম সড়ক সবুজপল্লী এলাকায় ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ নাজমুল হাসান মোল্লাকে (৫০) আটক করেছে। বর্তমানে তিনি লবণচরা থানা হেফাজতে রয়েছে। তিনি স্থানীয় রাজ্জাক মোল্লার ছেলে।
লবণচরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ঘুমন্ত অবস্থায় ডলি বেগমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় নাজমুল হাসান। ফলকাটা ছুরি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে নাজমুল হাসান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশী রিকশা চালক আরিফ নগরীর লায়ন্স স্কুলের সামনে থেকে ধরে এনে বেঁধে রাখে।
আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাজমুল হক পেশায় একজন সেন্টারিং মিস্ত্রি। ঘাতক নাজমুল হাসানের এক ছেলে ফাহিম (২৫) এবং এক মেয়ে সাদিয়া (২২) রয়েছে। নিহত ডলি বেগম পাইকগাছা শান্তা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের কন্যা।
এলাকাবাসী আরও জানায়, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পাশের ঘরেই চিৎকার শুনে তারা এগিয়ে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় ডলি বেগমকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঘাতক স্বামী নাজমুল হাসান পিছনের বেড়া দিয়ে পালিয়ে যান। অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা তাৎক্ষণিক ডলি বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কন্যা সাদিয়া জানান, প্রায় তার বাবা মায়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। ঝগড়ার জেরেই তার মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন তার বাবা।
লবণচরা থানার অফিসার্স ইনচার্জ সানওয়ার হোসাইন মাসুম জানান, সকালে মুঠো ফোনের মাধ্যমে এলাকাবাসী জানালে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হত্যাকারী নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করি ও যে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেই ছুরি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করি। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটে।
খুলনা গেজেট/এনএম

