যশোরের দুটি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের শুনানিতে আবেদনকারী উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি তার পক্ষে কেউ অংশ নেননি। ফলে আইন অনুযায়ী ওই আবেদন খারিজ হবে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল যশোর-৩ ও যশোর-৬ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন করেছিলেন। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম নাসির উদ্দিন নিজেই এ শুনানি গ্রহণ করেন। এসময় নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক জানান, আবেদনকারী সুকৃতি কুমার মণ্ডল শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন। তার আবেদনের বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। এছাড়া অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন ও কেশবপুর বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বসুন্দিয়া ইউনিয়নকে সম্পূর্ণভাবে যশোর সদরে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। তবে আবেদনকারী বসুন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামানও ছিলেন অনুপস্থিত। তার পক্ষে একজন অংশ নিলেও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নূরে আলম সিদ্দিকী এ প্রস্তাবের বিপক্ষে জোর আপত্তি জানান।
তিনি সিইসিকে বলেন, বসুন্দিয়া হচ্ছে দুটি আসনের সেতুবন্ধন। বর্তমান অবস্থায় এটি বজায় থাকলেই সবার জন্য ভালো হবে। তার বক্তব্য কমিশন লিপিবদ্ধ করে। একই শুনানিতে ভবদহ অঞ্চলের বিষয়েও আলোচনা হয়। সেখানে তিনি প্রস্তাব দেন, উন্নয়নের স্বার্থে ভবদহ অঞ্চলটুকুই যেকোনো একটি আসনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, তবে গোটা আসন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। কমিশন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেয়।
শুনানিতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, গোলাম রেজা দুলু, বিএনপি নেতা শান্তনু ইসলাম সুমিতসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর যশোর-৩ ও যশোর-৬ আসনের সীমানা পরিবর্তনের লিখিত আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানিকে ঘিরে সোমবার নির্বাচন কমিশনের সামনে শতশত মানুষ মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
খুলনা গেজেট/এসএস