সাতক্ষীরার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিএনপি নেতা ইসলাম কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে বল্লী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি নেতা ইসলাম কবিরাজ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী গ্রামের মৃত আব্দুল কবিরাজের ছেলে। তিনি বল্লী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
এর আগে সোমবার দুপুরে সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা ঘটনার সাথে জড়িত বিএনপি-ছাত্রদল নেতাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এই সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে শিক্ষার্থীরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে বলে ঘোষণা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় বেলা ১০ টার দিকে বিএনপি নেতা সেলিম আক্তার মন্টু ও যুবদল নেতা কামরুজ্জামান সবুজসহ ১০/১২ জন লাঠি, রড ও হাতুড়ি নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা অফিস কক্ষে ঢুকে শিক্ষক শফিকুর রহমানের ওপর হামলা চালায় এবং পরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটকে রাখে। পরে সহকর্মী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে শফিকুর রহমানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপি–ছাত্রদলের ৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বলেন, শিক্ষকের দেওয়া মামলায় সোমবার রাতে বল্লী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসলাম কবিরাজ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/এমএম
