Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শুক্রবার । ২২শে আগস্ট, ২০২৫ । ৭ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

নদীর নব্যতা দূরীকরণ ও ইজারা উন্মুক্ত’র দাবিতে পাইকগাছায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

পাইকগাছা প্রতিনিধি

পাইকগাছার আলোচিত মিনহাজ নদীর মুখে পলি পড়ে ভরাট হওয়ার কারণে পানি প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি হওয়ায় চার ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে।

জানা গেছে, পাইকগাছার ২৫১.২৫ একর মিনহাজ নদী (বদ্ধ) জলাশয়। উপজেলার লস্কর, গড়ইখালী, চাঁদখালী এবং কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের কয়েকটি বিলের পানি নিষ্কাসন একমাত্র মাধ্যম মিনহাজ নদী। আষাঢ়ের অতি বৃষ্টিতে চার ইউনিয়নের কয়েকটি বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাসনের একমাত্র পথ মিনহাজ নদী। এ নদীর মুখ ভরাট হওয়ায় পর্যাপ্ত পানি ভাটায় শিবসা নদীতে যেতে পারছে না। ফলে এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কিছু এলাকার মৎস লিজ ঘের প্লাবিত হয়ে মাছ ভেসে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জলাবদ্ধতার জন্য কৃষকরা আমন ধানের বিজতলা তৈরি করতে পারছে না।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে লস্কর ইউনিয়নের মিনহাজ নদীর পাড়ে খড়িয়া গোড়া বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জিএম সামছুর রহমান। শত শত এলাকাবাসী নদীর ইজারা বাতিল এবং নদী খননের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়ত নেতা মাওঃ আমিনুল ইসলাম, মোজাফফর হোসেন, আসমত শিকারী, মাওঃ আবুল কালাম, সজল সানাসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রশাসক স্থানীয় সুন্দরবন মৎস্যজীবী সমিতিকে ১৪৩১ থেকে ১৪৩৬ সাল পর্যন্ত ইজারা প্রদান করেছে। যার বছরে ইজার মূল্য ৩৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও ভ্যাট ৯ লাখ টাকা। ইজারা নেয়ার পর থেকে উক্ত জলাশয়ে মাছ চাষ করে আসছে। ফলে পানি সরবরাহ কম হচ্ছে।

এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা সরকারকে ইজারা মূল্য পরিশোধ করে নীতিমালা অনুসরণ করে জলাশয় ব্যবহার করছি।

তিনি আরও বলেন, ৪ টি ইউনিয়নে অবস্থিত ৮ টি স্লাইজ গেটের মধ্যে ৭ টি বন্ধ করে রাখায় পানি সরবরাহ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। একটি গেট দিয়ে বিপুল পরিমাণ পানি সরতে পারছে না। তাছাড়া মিনহাজ নদীর মুখ ভরাট হওয়ায় পানি প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার যদি ইজারা বাতিল করেন তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন