খুলনায় মেলার আয়োজকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব জহুরুল ইসলাম তানভীর ও মুখ্য সংগঠক সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদকে শোকজ করেছ কেন্দ্রীয় কমিটি। সংগঠনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গত রাতে শোকজের চিঠি আপলোড করা হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলাম স্বাক্ষর করা শোকজের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতিমালার পরিপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড একজন দায়িত্বশীল হিসেবে আপনার অবস্থানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং সংগঠনের ভাবমূর্তির জন্য হানিকর। কেন আপনার বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-তা এই নোটিশ প্রাপ্তির ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়া গেলে সংগঠন আপনার বিরুদ্ধে একতরফা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য থাকবে।’
সম্প্রতি চাঁদা দাবির ১ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদকে মেলার আয়োজক বগুড়ার মন্টু ইভেন ম্যানেজমেন্টের স্বত্বাধিকারী মন্টু মিয়ার কাছে কাছে ১০ টাকা দাবি করতে শোনা যায়।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিও রেকর্ডের একটি অংশে মেলার আয়োজক মন্টুকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার দ্বারা সবাইকে কি ঠান্ডা করা সম্ভব? আমার কাছে দুই টাকা রেডি আছে, আপনি বললে এখনই দিয়ে যাব।’ জবাবে আজাদ বলেন, ‘আমি পারব সবাইকে ঠান্ডা করতে, এ টু জেড, সবাই ঠান্ডা থাকবে, কেউ ওইদিকে ঘুরেও তাকাবে না—যদি ১০ টাকা দেন। আর যদি না দেন, তাহলে আজ এ গ্রুপ যাবে, কাল অন্য গ্রুপ যাবে, আপনি কয়জনকে ঠান্ডা করবেন?’
রেকর্ডের পুরো অংশ জুড়েই লেনদেনের কথা উল্লেখ রয়েছে।
কলরেকর্ড সম্পর্কে মন্টু মিয়া বলেন, ‘ওইটা পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি-পুনাকের মেলা ছিল। পুলিশের মেলা তারপরও আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাইছে। অনেক কষ্টে ৩ লাখ দিয়ে তাদের ঠান্ডা করেছি। ওই মেলায় আমার অনেক লস হইছে।’
অবশ্য সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ ও জহুরুল তানভীর এই রেকর্ডতে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। তারা বলেন, খুলনায় মেলাকে কেন্দ্র করে আমাদেরকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। ওই মেলার মালিক মন্টু ছিল না। মন্টু নিজেই একটা প্রতারক। এডিট করে আমাদের অডিও ছড়ানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচ