বিজয় দিবসের সকাল থেকেই ফুলে ফুলে ভরে গেছে যশোরের বিজয়স্তম্ভ। জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সূর্যোদয়ের পরই বিজয়স্তম্ভে যান সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এবারে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে পর্দাপন করলো দেশ। সোমবার মহান বিজয় দিবসে নানা আয়োজনে বীর শহীদদের স্মরণ করছে যশোরবাসী। আনন্দ উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভসূচনা হয়। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টায় শিশু একাডেমিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। টাউন হল মাঠে আয়োজিত হয় ক্রীড়া অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলা ও দিনব্যাপী বিজয় মেলা। সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও দিনব্যাপী তাদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। এছাড়া বিকেল চারটায় টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিন সকালে প্রথমেই বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে বীর শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন। এরপর যশোর জেলা বিএনপি, সদর উপজেলা বিএনপি, নগর বিএনপি, জেলা মহিলা দল, জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, ছাত্রদল, মৎস্যজীবী দল, জেলা ইসলামী আন্দোলন, পৌরসভা, প্রেসক্লাব যশোর, দৈনিক লোকসমাজ, দৈনিক স্পন্দন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, বাংলার ভোর, যশোর সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়ন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), যশোর জেনারেল হাসপাতাল, বিমানবন্দর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা সেটেলমেন্ট অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, বিআরটিএ, বিএসটিআই, জেলা পোস্ট অফিস, বিটিসিএল, পরিসংখ্যান অফিস, বিটিআরসি, ওজিএসবি, ব্যুরো বাংলাদেশ জোনাল অফিস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, পিটিআই, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, ডক্টরস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ডিস্ট্রিক্ট একাউন্টস এন্ড ফিনান্স অফিস, আরডিআরএস রিজিওনাল অফিস, ওজোপাডিকো, প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, যশোর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রিজ। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, যশোর মেডিকেল কলেজ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সরকারি এম.এম কলেজ, সরকারি এম.এম কলেজ ছাত্রদল, সরকারি এম.এম কলেজ, ছাত্রশিবির, সরকারি সিটি কলেজ, ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ, নার্সিং ও মিডওয়াইফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহম্মদ ন্যাশনাল প্রি-ক্যাডেট, যশোর কলেজ, শহীদ মশিউর রহমান আইন কলেজ।
বাঁচতে শেখা, ধারা, পোফ বাংলাদেশ, এডাব, সুজন, নবান্ন সমাজ কল্যাণ সংস্থা, মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন, জাতীয় হিন্দু মহাজোট, সনাতন ধর্ম সংঘ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, সূর্যোদয় সমাজ কল্যাণ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, অর্পণ মানব কল্যাণ সংস্থা, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, অগ্নিবীণা, ব্যঞ্জন থিয়েটার, থিয়েটার ক্যানভাস, বৈষম্য বিরোধী সাংস্কৃতিক জোট, জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, মাগুরা কল্যাণ ফোরাম, মোটর পার্টস ও অটো পার্টস দোকান কর্মচারি ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বড়বাজার হাটচান্নি মার্কেট দোকান মালিক সমিতি, জাতীয় যুব পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদ, আর্স বাংলাদেশ, এস.এস.সি ৮৬, এস.এস.সি ৮৭ ব্যাচ, পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়ন, এপেক্স বাংলাদেশ, ইঞ্জিনিয়ার্স মালিক সমিতি, জেলা মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতি, জেলা মোটর পার্টস ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, মুক্তি যুব পাঠাগার, জেলা টায়ার ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, জেলা অটোমোবাইল মালিক সমিতি, বৈদ্যুতিক দোকান মালিক কল্যাণ সমিতি, জেলা হিউম্যান হলার মালিক সমিতি, জাগরণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, জেলা ফল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
খুলনা গেজেট/এনএম