শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ১৭ দিনে ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। দুই বছর পর গত ১৭ নভেম্বর থেকে পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে সবশেষ ৬টি ট্রাকে ২১০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা পর্যন্ত ৪৯ টি ট্রাকে করে ১ হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে।
বেনাপোল শুল্ক ভবনের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল গনি জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহবুবুল আলম ফুড প্রডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং এবং সর্দার এন্টারপ্রাইজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে এ সমস্ত চাল আমদানি করছেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লুৎফর রহমান সাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারি ভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয় ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। ভারত থেকে দুই লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। সবাই চাল আমদানি করতে পারবেন কিনা তাতে সন্দেহ ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই চাল আমদানি করে বাজারজাত করতে হবে।সেখানে বাকি আছে সরকারি ছুটি শুক্রবার বাদে মাত্র ৪ দিন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তার আগে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। এরপর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি। শুল্ক প্রত্যাহার হওয়ায় আবার চাল আমদানি শুরু হয়েছে।গত ১৭ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত সময়ে এক হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ