যশোরের মণিরামপুরের জয়পুর গ্রামের জামায়াত কর্মী আনিছুর রহমানকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আজম ও ২১ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার নিহতের পিতা জামায়াত কর্মী ইব্রাহিম মোল্লা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুর রহমান অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
আসামিরা হলো, মণিরামপুর থানার সাবেক এসআই শংকর চন্দ্র মাতব্বার, এসআই নিশিকান্ত সরকার, এসআই মাহমুদ আল ফরিদ ভুইয়া, এসআই জামিরুল ইসলাম, এসআই রমজান, এসআই তাসনিম আলম, এসআই রবিউল ইসলাম, এসআই শিকদার মতিয়ার রহমান, এসআই শাহ হোসেন, এসআই মহসিন আলী, এসআই বাবর আলী, এসআই সেলিম, এএসআই আশরাফুল, এএসআই জাকির, এএসআই আব্দুল্লাহ, এএসআই ইকরামুল, এএসআই ফারুক, এএসআই কামাল, এএসআই প্রসেনজিত কুমার মল্লিক, এএসআই ইমলাক হোসেন, জয়পুর গ্রামের হাবিবুর রহমান, আব্দুল মজিদ, মোমতাজ আলী, হোসেন আলী মোল্লা, আজিজুর রহমান রাজিব, আসাদুজ্জামান বাবু, ইসলাম, আব্দুল মান্নান সরদার, সিরাজুল ইসলাম, মিকাইল হোসেন, ঢাকুরিয়া গ্রামের ইনতাজ আলী, মণিরামপুরের বিল্পব ঘোষ বাপ্পি ও আনিসুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জয়পুর গ্রামের ইব্রাহিম মোল্লা জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১৩ সালের ২২ মার্চ গভীর রাতে একদল পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা ছেলে আনিছুরকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। আসামিরা যাওয়ার সময় ইব্রাহিমকে থানায় দেখা করতে বলে। ওইরাতে তিনি স্বজনদের নিয়ে থানা গেলে আনিছুরের বিরুদ্ধে নাশতকার অভিযোগ এনে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এ টাকা দিতে না পারায় আসামিরা তাকে গালিগালাজ দিয়ে তাড়িয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ইব্রাহিম ও তার স্বজনরা। পরদিন সকালে তিনি লোকমুখে জানতে পারেন জামতলা কাঁচা রাস্তার উপর গুলিবিদ্ধ আনিছুরের মৃতদেহ পড়ে আছে। এ সংবাদে তিনি স্বজনদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরাসহ পুলিশ পথিমধ্যে গতিরোধ করে মৃতদেহের কাছে যেতে দেয়নি। তড়িঘড়ি করে পুলিশ আনিছুরের মৃতদেহ গাড়িতে তুলে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আসামিরা প্রভাবশারী হওয়ায় ঘটনার পর তারা মামলা করতে পারেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি হত্যার ঘটনার ১১ বছর পর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি