যশোরের ঝিকরগাছায় পিয়াল হাসান নামে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে খুলনার চুকনগর ও ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের কামারুল ইসলামের ছেলে ও ঝিকরগাছা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম রেজা এবং একই এলাকার নজরুল ইসলাম নজুর ছেলে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মেহেদী হাসান (২৪)।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে র্যাব- ৬ কার্যালযের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইট লে. রাসেল সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৯ নভেম্বর নিহত যুবদল কর্মী পিয়াল হাসান (২৮) বাজারে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পৌরশহরের মিতালী হল রোডস্থ এলাকায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্য বোমা নিক্ষেপ করে আসামিরা। এ সময় নিহত পিয়াল প্রাণ বাঁচাতে ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করলে সেখানে আসামিরা দা ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে পিয়ালের গলা, হাতে পায়ে ও পিঠে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পিয়ালের বাবা বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় ছাত্রদল নেতা শামীমসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে।
তিনি জানান, শামীম ঢাকার উদ্দেশ্যে পালানোর জন্য খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে যায়। সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। অন্যদিকে, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মেহেদী হাসান ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও মূলত ছাত্রদল নেতা শামীমের পরিবারের সঙ্গে নিহত পিয়ালের পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এর আগে, সোমবার সকালে বেনাপোল সীমান্ত ও মোবারকপুর গ্রাম থেকে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ।
খুলনা গেজেট/এএজে