মেশিন নেই কেনো, কৈফিয়ত চেয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত জাকারিয়া হোসেনকে (২৫) পুলিশ হেফাজতে নিলেও অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জাকারিয়া সদর উপজেলার দেয়াড়া ফরিদপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এদিন দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে জাকারিয়া তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তিনি রাগান্বিত হয়ে আঘাত করে তত্ত্বাবধায়কের টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর করেন। পরে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ বলেন, জাকারিয়া নামে এক ব্যক্তি তার কক্ষে গিয়ে ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট সাসপেনশন মেশিন নেই কেনো কৈফিয়ত চান। এরপর তার সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। তাকে শান্ত করার চেষ্টা হলেও টেবিলে থাবা দিয়ে গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সাথে অশোভন আচারণ ও তার রুমে ভাংচুরের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহযোগিতা চান। সেখানে পুলিশের টহল টিম গিয়ে জাকারিয়া নামে একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি