ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধুসহ মোট ৫ জন নিহত হয়েছে। ঝিনাইদহের সাধুহাটি মোড়ে এক ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ফরিদপুর জেলার সালতা থানার বড়-কাউনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনিছুর রহমান (৬৫) এবং একই উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের ফারুখ মাতুব্বর (৪৫)। আহত একই উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের মতিয়ার রহমান। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
তবে ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের চালককে পাওয়া যায়নি। নিহত ও আহত ব্যক্তিরা ফরিদপুর জেলার শাওতাল এলাকা থেকে কলা কিনতে মেহেরপুর যাচ্ছিল।
জানা যায়, সকালে ফরিদপুর থেকে ঝিনাইদহ হয়ে মিনি ট্রাকে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছিল চালকসহ ৪ ব্যক্তি। পথিমধ্যে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের সাধুহাটি নামক স্থানে পৌঁছালে স্পিডব্রেকার অতিক্রম করে সামনের দিকে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত হয় এবং আহত হয় একজন। তবে সেসময় অন্য ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়।
ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক তানভীর হাসান জানান, ঘটনাস্থলে এসে দেখা যায় দুই জন মৃত এবং আটকা পড়া অবস্থায় আছেন। সঙ্গে আটকাপড়া একজন আহত ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের কাশীনাথপুর সাইনবোর্ড এলাকায় প্রাইভেটকারের চাপায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই বন্ধু নিহত হন।
তারা হলেন সদর উপজেলার গৌরীচরণপুর এলাকার পিকুল বিশ্বাসের ছেলে সানী বিশ্বাস (২০) এবং একই গ্রামের কামরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে মুহীব বিশ্বাস (১৮)।
পুলিশ জানায়, দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে করে মাগুরা শহর থেকে বাড়ি ফিরছিল। এসময় প্রাইভেটকারের চাপায় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে সদর উপজেলার নড়িহাটি এলাকায় অটোরিকশা উল্টে চালক ফারুক হোসেন (১৪) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। সে নড়িহাটি গ্রামের জাহিদ মিয়ার ছেলে।
মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম