ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে কারা ধ্বংস করেছে সেটা তদন্তের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া, মডেল মসজিদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন সভাকক্ষে দারুল আরকাম মাদ্রাসা স্থাপন ও পরিচালনা শীর্ষক প্রকল্পের দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। এটিকে প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে পরিবর্তন আনা হবে। যেসব কর্মকর্তা এখানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন তাদেরকে মাঠে পাঠানো হবে। মাঠ পর্যায়ে যারা যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তাদেরকে প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করা হবে।’
তিনি আরও আরও বলেন, ‘বিগত দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন তার কর্মকাণ্ড, ভিশন ও মিশন থেকে সরে এসেছে। বিশেষ করে অতিমাত্রিক রাজনীতির কারণেই এরূপ লক্ষচ্যূতি ঘটেছে। এটিকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখা হবে।’
‘বিগত ১৫ বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী পরিমাণ সম্পত্তি বেড়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া হবে। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’, যোগ করেন তিনি।
আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রকল্পের শিক্ষক, জনবল ও বেতন কাঠামোর বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া, শিক্ষা পদ্ধতি, উপবৃত্তি চালু ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক শফিউল আলম, দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা স্থাপন ও পরিচালনা প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুস সবুর ও ইফা’র আইসিটি ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ বক্তব্য দেন।
এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয়, বিভাগ ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা গেজেট/এমএম