অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করা হলেও কাউন্সিলরদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একইসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ.এফ. হাসান আরিফ বলেন, সিটি কর্পোরেশনে মেয়রদের অপসারণ করা হলেও কাউন্সিলরদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রশাসক থাকলে কাউন্সিলররা দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, সেটা এখন তাদের ব্যাপার। মূল কথা হচ্ছে, মেয়র এবং চেয়ারম্যানের জায়গায় প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করবো। এখানে মার মার কাট কাটের কোন বিষয় নেই। এটি সমগ্র স্থানীয় সরকারকে পরিচ্ছন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ১৩ক প্রয়োগ করে প্রথম প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনসমূহের মেয়রগণকে স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করা হয় এবং একই অধ্যাদেশের ধারা ২৫ক এর উপধারা (১) প্রয়োগ করে দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক নিয়োগ প্রদান করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মহ. শের আলীকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসানকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনারকে খুলনা সিটি করপোরেশন, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারকে সিলেট সিটি করপোরেশন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারকে বরিশাল সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ, এইচ, এম কামরুজ্জামানকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) মহাপরিচালককে (অতিরিক্ত সচিব) কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে রংপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক করা হয়েছে।
এছাড়াও পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন স্বিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে এ ব্যাপারে স্বিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
খুলনা গেজেট/এমএম