ঘূর্নিঝড় রেমাল এর তান্ডবে সুন্দরবন উপকূলীয় খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল লন্ডভন্ড হয়েছে। বিশেষ করে জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার বিভিন্ন পোল্ডারে পাউবোর বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে গ্রামের পর গ্রামে মূহুর্তেই লবণ পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার-হাজার বিঘার চিংড়ি ঘের তলিয়ে ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছ।
রবিবার রাতের জোয়ারের উপর জলোচ্ছ্বাসে ১০/১২ নং পেল্ডারের গড়ইখালীর কুমখালীর ক্ষুদখালীর ভাঙ্গন, ২৩ নং পোল্ডারের লস্করের বাইনতলা, কড়ুলিয়াসহ ৩টি স্থানে, লতা, দেলুটি, হরিঢালী, রাড়ুলী, কপিলমুনিসহ সোলাদানার একাধিক পয়েন্টে বাঁধ উপছে লোকালয়ে লবণ পানি ঢুকে ঘর-বাড়ী, রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফসলের ক্ষেত তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে।
এদিকে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো: ওশীদুজ্জামান খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সরেজমিনে পদির্শনপূর্বক পোল্ডার রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতে স্থানীয়দের কাজের তদারকি করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকায় জিও ব্যাগ ও বস্তা সরবরাহ করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওবায়দুর রহমানসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেওয়া মানুষের মধ্যে খাদ্য-পানি সরবরাহ করেন।
সোমবার সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, যতদ্রুত সম্ভব বাঁধ মেরামত করা না গেলে জোয়ারের উপচে পড়া পানিতে ফের গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে গোটা এলাকা ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।
খুলনা গেজেট/এনএম