জিতলেই নিশ্চিত হবে প্লে-অফ, হারলেও টিকে থাকবে আশা—এমন সমীকরণে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে ফরচুন বরিশালের। ইতোমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটাররা রীতিমতো সংগ্রাম করেছে তাইজুল ও সাইফউদ্দিনদের বোলিংয়ের সামনে।
শেষ দিকে জাকের আলির ১৬ বলে ৩৮ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানের পুঁজি গড়েছে কুমিল্লা। চলতি বিপিএলের চতুর্থ তথা শেষ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করতে বরিশালের লক্ষ্য ১৪১ রান।
হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলায় ছুটির দিনে দর্শকের ঢল নেমেছে যেন। এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দলীয় ৪০ রানেই টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। স্বদেশি সুনিল নারাইনকে আউট করে বরিশালকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন ওবেদ ম্যাককয়। ১৮ বলে ১৬ রান করেন নারাইন।
এরপর ২ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট তুলে নিয়ে কুমিল্লাকে আরও কোণঠাসা করে ফেলেন তাইজুল। দলীয় ৩৮ রানের মাথায় অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের পর ৪০ রানে বিদায় নেন মাহিদুল অঙ্কন। লিটন ১২ বলে ১২ ও অঙ্কন ৬ বলে ১ রান করেন।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে মঈন আলি ও তাওহীদ হৃদয় মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা চালান। হৃদয় ২৬ বলে ২৫ রানে বিদায় নিলে ভাঙে ৩০ বলে ৩৬ রানের জুটি। ম্যাককয়ের বলে আকিফ জাভেদের হাতে ধরা পড়েন টাইগার এই ব্যাটার। ইনিংসে থিতু হয়ে বেশিদূর এগোতে পারেননি ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলিও। আকিফ জাভেদের শিকার হওয়ার আগে ২২ বলে ২৪ রান করেছেন।
আগের ম্যাচের নায়ক আন্দ্রে রাসেলও এদিন মিরপুরে ঝড় তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাইজুলের বলে কাটা পড়ার আগে ১১ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলেছেন ক্যারিবীয় এই বিধ্বংসী ব্যাটার। সাইফউদ্দিনের দারুণ এক ডেলিভারিতে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন ম্যাথিউ ফোর্ড।
পরপর উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল কুমিল্লা। কিন্তু তরুণ ব্যাটার জাকের আলির ক্যামিওতে দেড়শোর দোড়গোড়ায় গিয়ে থামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। চার ছক্কা ও দুই চারের মারে ১৬ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। যদিও দারুণ বোলিং করা তাইজুলের আরও একটি ওভার বাকি ছিল। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন ওবেদ ম্যাককয় ও সাইফউদ্দিন।
খুলনা গেজেট/ টিএ