খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) লাইসেন্স বিভাগের আত্মসাত করা ৫৩ লাখ ৬২ হাজার ৯৪০ টাকা সাত কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব বিভাগে জমা দিতে ৪ কর্মচারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কেসিসির সচিব ওই কর্মচারীকে চিঠি দেন।
পৃথক চিঠিতে কেসিসির লাইসেন্স পরিদর্শক (বাণিজ্য) মনিরুল ইসলামকে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ টাকা, কাজী মনজুর ইল আলমকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮০ টাকা, শেখ শাহেদ হাসানকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮০ টাকা এবং মো. হাবিবুর রহমানকে ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৬২০ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ট্রেড লাইসেন্স শাখা ক্যাশ শাখা থেকে ২০৪টি এমবই গ্রহণ করে। ২০৪টি বইয়ের মধ্যে ১৯৩টি এমবই অডিট টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ১১টি বই জমা দিতে পারেনি লাইসেন্স শাখার কর্মচারীরা। এনিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ওই চার কর্মচারীকে ১১টি এমবই জমা দিতে কয়েকবার চিঠি দেয়। কিন্তু তারা বই জমা দেয়নি। পরে ওই ১১টি বইয়ের আওতায় জমা দেওয়া সমুদয় টাকা ওই ৪ জন কর্মচারীর কাছ থেকে আদায় করার সিদ্ধান্ত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার কেসিসির সচিব স্বাক্ষরিত পৃথক ৪টি চিঠিতে বলা হয়, গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে আপনার নামে ইস্যুকৃত সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স (বাণিজ্য) শাখার এম বই নং-এর ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ প্রতিটির জন্য ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪০ টাকা করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব বিভাগে জমা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হলো।
খুলনা গেজেট/হিমালয়