যশোরের বাঘারপাড়ায় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার , চিত্রা নদী ও মুদি দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট হোসনে আরা তান্নি ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে বাঘারপাড়া চৌরাস্তার আনোয়ার ক্লিনিকে ৫০০০ টাকা, ফাতেমা ক্লিনিকে ২০০০ টাকা, বাঘারপাড়া ক্লিনিকে ২০০০ টাকা ও ল্যাব কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: অরূপ জ্যোতি ঘোষ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: খায়রুল আল মুদাচ্ছির, মেডিকেল অফিসার ডা:শাহজালাল , স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মনিরা খাতুনসহ পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা।
একই সময় উপজেলা সদরে চৌরাস্তায় মজিদ সুপার মার্কেটে মুদি দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফেরদৌসী। দোকানে মেয়াদ উর্ত্তীণ পন্যে থাকায় দেবনাথ ভ্যারইটিজ স্টোরে ১০০০, মা স্টোরে ১০০০ ও সাকিব এন্টারপ্রাইজে ১০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
একই দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট হোসনে আরা তান্নি নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের খানপুর বাজারের চিত্রা নদীতে অভিযান চালিয়ে চায়না জাল জব্দ করা হয়। এসময় ২১ টা চায়না জাল ১ হাজার ৫০ মিটার আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য কর্মকতার্ পলাশ বালাসহ পুলিশ সদস্যরা।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: অরুপ জ্যোতি ঘোষ জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় এ উপজেলায় অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট হোসনে আরা তান্নি বলেন , ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিত্রা নদীতে অভিযান চালানো হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টি সেন্টারে, চিত্রা নদীতে অভিযান চালিয়ে জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।
খুলনা গেজেট/কেডি