যশোরের চৌগাছা বাজারে জরাজীর্ণ একটি দ্বিতল ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বেশ আগেই ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য মালিক পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু আজও ভাঙা হয়নি ভবনটি। ভবনের নিচতলায় কয়েকজন ব্যবসায়ী ব্যবসা করলেও দ্বিতীয় তলার ব্যবসায়ীরা ঘর খালি করে বহু আগে চলে গেছেন। জনবহুল এলাকাতে ভবনের অবস্থান হওয়ায় যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
চৌগাছা-কোটচাঁদপুর সড়কে সনু ডাক্তার মোড়ে অবস্থিত বহু পুরনো জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের মিয়া বাড়ির উদ্যোগে বহু বছর আগে এই ভবনটি নির্মাণ করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা। প্রধান সড়কের পাশে ভবনের অবস্থান হওয়ায় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যাংক বীমা কর্তৃপক্ষের পছন্দের ভবন ছিল এটি। এক সময় ভবনটির দ্বিতীয় তলা ছিল কৃষি ব্যাংক চৌগাছা শাখা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভবনটি ছেড়ে দিলে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস স্থাপিত হয় ভবনের দ্বিতীয় তলায়। আর নিচ তলার অন্তত ৮/১০টি ঘর সবই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মালিক পক্ষ ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। ভবনটির দ্বিতীয় তলার ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে বের হয়ে গেছে রড। এছাড়া ছাদ ও দেয়ালের বহু স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি চলে আসে। দ্বিতীয় তলার বারান্দা আরও ঝুকিপূর্ণ।
যার কারণে প্রায় ৪/৫ বছর ধরে দ্বিতীয় তলায় কোন ভাড়াটিয়া নেই। যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকায় তারা ঘর ছেড়ে অন্যত্র ব্যবসা করছেন। দ্বিতীয়তলা খালি পড়ে থাকলেও নিচের তলায় আজও ঝুঁকি নিয়ে অনেকে ব্যবসা করছেন। নিচ তলায় যেসব ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন তারা নিজেরাও ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও কোথাও ঘর না পাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে সেখানে আছেন বলে জানান।
ভবনটির পশ্চিম পাশের মার্কেটের ব্যবসায়ী শাহাজান আলী, লক্ষণ কুমার, মো. লোটন বলেন, বহু বছর আগের তৈরি এই ভবনটি সকলের জন্যেই আজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভবনটির সামনে প্রধান সড়ক। পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কেট, যদি কখনও এটি ধসে পড়ে তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। ভবনের নিচতলার ব্যবসায়ী খান ফার্মাসির মালিক মো. বাবু বলেন, এই ভবন মালিক ইচ্ছা করলে এক মাসের মধ্যেই এটি ভেঙে নতুন মার্কেট নির্মাণ করতে পারেন। কিন্তু তারা সুবিধাজনক সময়ে হয়ত কাজে হাত দেবেন। নিচে ব্যবসা করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও ব্যবসা করছি।
এ বিষয়ে ভবন মালিকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে নিকট এক আত্মীয় নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, একাধিক শরিক থাকায় ভবন ভেঙে নতুনভাবে কাজ করা কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুতই ভবনটি ভাঙা হবে বলে আমি জেনেছি।
চৌগাছা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী আবুল কাশেম জানান, জরাজীর্ণ ভবনের মালিকের সাথে কথা হয়েছে। তারা দ্রুতই ভবনটি অপসারণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ