খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মহাখালীতে সড়ক-রেললাইন অবরোধ শিক্ষার্থীদের, সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ
  ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে সরকার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে : চিফ প্রসিকিউটর
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনের শুনানি চলছে
  শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

বেনাপোলে ৬৬টি বোমা উদ্ধার : গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের বেনাপোল থেকে একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুলিশ প্রশাসন। কোথা থেকে কিভাবে এসব বোমা আসছে সে বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে। গত কয়েক দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ৬৬টি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে। এরপর থেকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামের একটি কেমিক্যাল গোডাউনের পাশ থেকে ২৫টি বোমা উদ্ধার র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা। যশোর ক্যাম্পে কর্মরত স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামে র‌্যাব অভিযান চালায়। এসময় তারা বাগআঁচড়ার ওই স্থান থেকে ২৫টি ককটেল বোমা উদ্ধার করা করেন।

তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ এ ককটেল বোমা বড় ধরনের কোন নাশকতার পূর্ব পরিকল্পনায় মজুত করা হয়েছে। ককটেল বোমা মজুতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধারকৃত ককটেল বোমাগুলো বেনাপোল পোর্ট থানায় জিডির মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা এগুলো ধ্বংস করবে বলে তিনি জানান।

এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর যশোর র‌্যাব-৬ সদস্যরা বন্দর এলাকার বাদল হোসেনের পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১৮টি ককটেল বোমা উদ্ধার করে। এর একদিন পরই ৩ সেপ্টেম্বর বন্দরের পৃথক স্থান থেকে পোর্ট থানা পুলিশ ২৩টি ককটেল বোমা উদ্ধার করে। এসময় একজন পালিয়ে যায়। এসব ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর বাদল হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে গত তিনদিনে র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানে বন্দর এলাকা থেকে ৬৬টি ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা পুলিশ প্রশাসন। তারা বোমাগুলো কিভাবে ওইস্থানে জড়ো করেছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কি কারণে এতো বেশি বোমা আনা হচ্ছে বা কারা নাশকতার পরিকল্পনা করছে সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা সদস্যরা।

এসব ব্যাপারে যশোরের পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ এ বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে রাজি হননি। তারা বলেন, এসব ঘটনায় প্রশাসনিক গোপন তৎপরতা চলছে। অচিরেই প্রকৃত অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।

তবে বিষয়টি নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি অভিযানে র‌্যাব ও পুলিশ বেশ কয়েকটি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। কোন প্রকার নাশকতা যাতে না ঘটে তার জন্য বন্দর এলাকায় বিষেষ নজরদারি চলছে।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!