খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীতে ফার্মগেটে বণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট কাজ করছে
  গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
  ঝিনাইদহে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকের মৃত্যু

সুন্দরবনের অতন্ত্র প্রহরী রয়েল বেঙ্গল টাইগার

ড. খ. ম. রেজাউল করিম

পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ বাঘের আবাসস্থল হিসেবে ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের রয়েছে আলাদা পরিচিতি। এখানকার বিচিত্র প্রজাতির প্রাণির কথা বলতে গেলে সবার প্রথমেই বলতে হয় রাজসিক প্রাণি রয়েল বেঙ্গল টাইগার-এর কথা। মূলত বাঙালির ইতিহাস, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আর ঐতিহ্যের ধারায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার এমন প্রাণি যা অহংকার, গর্ব, আনন্দ, ভয় আর সম্মানের প্রতীক। বিশাল আকৃতি, শক্তি, হিংস্রতা, রাজকীয় চলাফেরা আর দাম্ভিক আচার-আচরণের কারণে সারা বিশ্বে এ বাঘের খ্যাতি রয়েছে। বলা হয় সুন্দরবন রক্ষায় সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত বনরক্ষক থাকলেও এ বনের প্রকৃত পাহারাদার রয়েল বেঙ্গল টাইগার। জানা যায় লন্ডনের রয়েল পরিবারের একজন দক্ষ শিকারি সুন্দরবনের বাঘ শিকারে বীরত্বের পরিচয় দেন। ফলে তিনি উচ্চ প্রশংসিত এবং পুরস্কৃত হন। সেই থেকেই বাংলার বাঘের ঘাড়ে রয়েল শব্দটি চেপে বসে।

বাঘ অভিযোজনবান্ধব প্রাণি। উষ্ণমন্ডলীয় বন থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ জলাভূমি, পত্রমোচী বন সর্বত্রই বাঘের বিচরণ। উপমহাদেশের অতুষ্ণ বনাঞ্চল থেকে রাশিয়ার হিমশীতল দূরপ্রাচ্যেও বাঘ বাস করে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাঘের নাম সাইবেরিয়ান ক্যাট, যার বাস সাইবেরিয়াতে। বাঘ কিন্তু বাংলাদেশের আদি প্রাণি নয়। জানা যায়, বাঘ মধ্য-এশিয়া থেকে হিমালয় পর্বত ডিঙিয়ে আসামের উত্তরাঞ্চল হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর ভারতীয় উপমহাদেশের সমতল ভূমিতে এসে এরা তৃণভোজী শিকারোপযোগী প্রাণি অধ্যুষিত বিভিন্ন বনাঞ্চলে আস্তানা গড়ে তোলে। বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার বছর আগের মহেঞ্জোদারোর ঐতিহাসিক প্রমাণপঞ্জিতে বাঘের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে বিংশ শতাব্দীর ৫০ ও ৬০ এর দশকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বনাঞ্চলের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তাতে অন্যান্য প্রাণির পাশাপাশি বাঘেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। তারপরেও এখনো পৃথিবীর ১৩টি দেশে কমবেশি বাঘ দেখতে পাওয়া যায়। এক সময় বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় বাঘ দেখা যেত। বর্তমানে বাঘের বসবাসের জন্য বনের খন্ডাংশ, পাহাড়, ঘাসের জমি এবং জলাভূমি সবই কমে আসছে। এখন শুধুই সুন্দরবনে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণি হিসেবে বাঘ টিকে আছে।

প্রাণী ও পরিবেশবাদীদের মতে, বাঘ সারা বিশ্বে একটি বিপন্ন প্রাণী। তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশে ৩ হাজার ৮৪০টি বাঘ প্রকৃতিতে রয়েছে। এদের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের সুন্দরবন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির বাঘের আবাসভূমি। তার মধ্যে ভারতে ৪৭১৫টি এবং বাংলাদেশে আছে প্রায় ৪০০টি বাঘ। তবে বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন। জানা যায় স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ৩৫০টি। এরপর ১৯৮২ সালে জরিপে ৪২৫টি এবং ১৯৮৪ সালে ৪৩০ থেকে ৪৫০টি বাঘ থাকার কথা জানা যায়। ২০১৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে দাঁড়ায় ১০৬টিতে। হঠাৎ করে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৪০০টি থেকে ১০৬টিতে এসে দাঁড়ালে সারা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়। ২০১৮ সালের সর্বশেষ বাঘশুমারিতে সুন্দরবনে ১০৬ থেকে বেড়ে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৪টিতে। সরকারি সূত্র মোতাবেক বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা মাত্র ১১৪টি ।

রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা বাংলার বাঘ বাংলাদেশের জাতীয় পশু। এর দেহবর্ণ গাঢ়-হলুদ এক লালচে হলুদ, তাতে লম্বা-কালো ডোরা পিছন ও উরুতেই বেশি। হলুদ রঙের লেজে অনেকগুলি কালো বেড়, আগা কালো। কানের পিছন কালো রঙের, তাতে একটি স্পষ্ট সাদা দাগ। চোখের মণি গোল। কমলা-লাল ও হালকা বাদামি রঙের পশমী কোটের উপর লম্বা কালো ডোরা কাটা চকচকে শরীর। একটি পুরুষ বাঘের দের্ঘ্য ২.৫ মিটার থেকে ৩ মিটার আর স্ত্রী বাঘের দৈর্ঘ্য ২ মিটার থেকে ২.৭৫ মিটার হয়ে থাকে। একটি পূর্ণবয়সী পুরুষ বাঘের ওজন সাধারণত ১৫০-২২৫ কেজি এবং বাঘিনীর ওজন ১০০-১৫০ কেজি হয়ে থাকে। বাঘের রয়েছে শানিত চোখ আর সজাগ কান, যা কোন শিকারের পক্ষে ফাঁকি দেয়া কঠিন। বাঘের শোনার শক্তি, দৃষ্টি শক্তি, বিশেষ করে অত্যন্ত কম আলোয় অসাধারণ। এরা মানুষের চেয়ে অন্ধকারে ছয়গুণ বেশি দেখতে পায়।

মূলত সুন্দরবনের বাঘ অতি চঞ্চল প্রাণি, এক জায়গায় বেশিক্ষণ স্থির থাকে না, ঘুমায় না, সারাক্ষণ হাটাহাটি করে। বাঘ মাংসাশী প্রাণি। প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঘের জীবন অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাকে শিকার করে খেতে হয়। এরা স্বভাবে অনেকটা লাজুক প্রকৃতির হলেও শিকার ধরার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে এবং সুযোগ বুঝে শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। একটি সুস্থ সবল বাঘ প্রতিদিন ৪০ কিলোমিটার এলাকা বিচরণ করে শিকার সংগ্রহ করে থাকে। বাঘ সাধারণত পিছন বা একপাশ থেকে আক্রমন করে। সব শিকারই বাঘ মুখে তুলে নেয়। এরা এতই শক্তিশালী যে, নিজের চেয়ে দ্বিগুণ বড় জন্তুও অনায়াসে শিকার করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একটি পূর্ণ বয়স্ক বাঘের গড়পড়তা ১০-১৫ কেজি খাবার প্রয়োজন হয়। সাধারণত বৃদ্ধ এবং বন্যজন্তু শিকারে অক্ষম বাঘদের ভিতরেই মানুষ খেকো বাঘ দেখা যায়। সুন্দরবনে কেবল কতিপয় বাঘ মানুষ শিকার করে থাকে আর অধিকাংশ বাঘই আক্রমণ করে না। বাঘ সাধারণত প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে, অত্যন্ত সহজ শিকার মনে করেই মানুষ শিকার করে। আর একবার বাঘ মানুষখেকো হলে তখন কেবল মানুষই খায়, অন্য প্রাণি ধরতে যায় না। মানুষ খেকো বাঘ সাধারণত দাপটের সাথে হাটে, সাধারণ বাঘ তা করে না।

বাংলাদেশের সুন্দরবন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির বাঘের আবাসভূমি। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ, বিশালতা, নদ-নদীর পর্যাপ্ততা, বনের গভীরতা, শিকারের সহজলভ্যতা বাঘ বসবাসের জন্য খুবই উপযোগী। সে কারণে একক বন হিসেবে সুন্দরবনে সব থেকে বেশি সংখ্যক বাঘ বাস করে। আগে এ বনে বাঘের সংখ্যা অত্যধিক ছিল। বর্তমান এর সংখ্যা কমে আসছে। ইউএনডিপির হিসাবমতে, সুন্দরবন থেকে বছরে অন্তত ২০টি করে বাঘ কমে যাচ্ছে। অন্য এক হিসেব মতে, প্রতিবছর গড়ে ৮-১০টি বাঘ বিভিন্ন কারণে মারা যায়। বন বিভাগ ও বিশেষজ্ঞরা বাঘের মৃত্যুর জন্য ৮টি কারণকে চিহ্নিত করেছেন। যথা-প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়-জলোচ্ছাস ও বন্যা-লবণাক্ততা, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বনের ঘনত্ব কমে যাওয়া, খাদ্য সংকট, বার্ধক্যজনিত, পুরুষ বাঘ কর্তৃক বাচ্চা খেয়ে ফেলা, ফাঁদ পেতে ও খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা, লোকালয়ে প্রবেশের পর গ্রামবাসী কর্তৃক পিটিয়ে হত্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব বাঘের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে। এক জরিপে দেখা যায় গণপিটুনি, রোগে ভুগে এবং বিভিন্ন কারণে বিগত দুই যুগে ৬০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। আর ১৯৮৩-২০০৩ সময়ে সুন্দরবন এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন কারণে ৫৫টি বাঘ মারা যায়। তবে বন বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সুন্দরবন এবং তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন কারণে ১৬টি বাঘ মারা গেছে।

বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণের জন্য বন বিভাগ ও মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘সুন্দরবন বাঘ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প গঠন করা হয়। এর মুখ্য উদ্দেশ্য হলো সমম্বিত গবেষণা, দক্ষতা তৈরি ও সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাঘের সংরক্ষণ ‘কলারিং পদ্ধতি’ প্রয়োগ করে বাঘের আবাস্থলের প্রকৃতি, বসতির চাহিদা, আচরণ, চলাফেরার ধরণ, শিকারের হার, মানুষ বহনের ক্ষমতা প্রভৃতি সম্পর্কে জানা যায়। বস্তুত ‘কলারিং পদ্ধতি’র মাধ্যমে অর্জিত তথ্য বাঘ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ‘কলারিং পদ্ধতি’ ব্যবহারের মাধ্যমে রাশিয়াতে বাঘের সংখ্যা ১০০ থেকে ৪০০ তে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। দ্বিতীয়ত: এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে স্থানীয় জনগণ ও পশুসম্পদকে বাঁচানো সম্ভব। জানা যায় ‘কলারিং পদ্ধতি’ চালুর পর থেকে সুন্দরবনে কোন বাঘ অস্বাভাবিকভাবে মারা যায়নি। এ গবেষণার মাধ্যমেই জানা যায়, সুন্দরবনে বাঘের ঘনত্ব অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বেশি; যা বাঘ সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপুর্ণ বিবেচিত হয়।

বন্যপ্রাণী বা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সংশ্লিষ্ট আর্ন্তজাতিক কনভেনশন যেমন-সাইটিস, রামসার কনভেনশন, সিবিডি, ওর্য়াল্ড হেরিটেজ কনভেনশন ও জিটিএস-এর অন্যতম সদস্য বাংলাদেশ। এসব আন্তর্জাতিক কনভেনশন বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রেক্ষাপট এবং জাতীয় পর্যায়ে দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রেক্ষাপট এক ও অভিন্ন। সেই প্রেক্ষাপটে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সে জন্য বন্যপ্রাণি ও বন্যপ্রাণির অবস্থান সংরক্ষণে সরকার ও জনগণ সবারই দায়বদ্ধতা রয়েছে। বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে দেশে বিদ্যমান আইন, সময় ও উন্নত বিশ্বের সাথে চলতে গিয়ে এ আইনগুলোর সংস্কার আশু প্রয়োজন। বন্যপ্রাণি বিপন্ন হলে আমাদের অস্তিত্ব শুধু বিপন্ন নয়, ধ্বংসও হবে। বিপন্ন বন্যপ্রাণি ও উদ্ভিদের আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য কনভেনশন বিধিমালার ১নং পরিশিষ্টে এবং বাংলাদেশ (বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ) (সংশোধন) বিধি-১৯৭৪-এর অন্তর্ভূক্ত। বাঘ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন অবাধ শিকার বন্ধের ব্যবস্থা, ভক্ষ্য শিকারগুলির সুরক্ষা ও সংখ্যাবৃদ্ধি, মানুষ-বাঘ সংঘাত বন্ধের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান। বাঘ সংরক্ষণে কতিপয় সুপারিশ তুলে ধরা হলো- সুন্দরবনে অবাঞ্চিত ব্যক্তি ও শিকারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা; বন বিভাগকে আরো শক্তিশালী ও সংগঠিত করা; আধুনিক অস্ত্র ও তথ্যপ্রযুক্তিসহ উন্নতমানের বন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যসূচিতে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ বিষয়ক অধ্যায় সংযোজন করা; গণমাধ্যমের মাধ্যমে বণ্যপ্রাণি সংরক্ষণে ব্যাপক প্রচারাভিযান চালানো এবং সুন্দরবন নির্ভর মানুষের সংখ্যা হ্রাস এবং তাদেরকে অন্যান্য বিকল্প পেশায় নিয়োজিত করা।

বাঘ সুন্দরবনের প্রতিবেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এর সুরক্ষা বনের প্রতিবেশকে সুরক্ষিত করে। দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা হ্রাস গেলে স্বাভাবিকভাবেই হরিণসহ অনান্য প্রাণির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাবে। ফলে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হতে পারে। বাঘকে সুন্দরবনের বনজ সম্পদসহ অন্যান্য প্রাণিকুলকে সংরক্ষণের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। বনের অভিভাবক হিসেবে বাঘের সংরক্ষণ প্রয়োজন, যা পরিবেশ, সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য ও মানব জীবনযাত্রাকে রক্ষা করবে। তাহলে বাঁচবে আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশ তথা দেশ।

লেখক : সমাজ গবেষক ও শিক্ষক, সরকারি মাইকেল মধুসুদন কলেজ, যশোর।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!