দীর্ঘ ১২ বছর পর অনুষ্ঠিত বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
নৌকা প্রতিকের মনোনীত মেয়র প্রার্থী নাসির উদ্দীন ১৩,২৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুর রহমানের সজন মোবাইল প্রতিক পেয়েছেন ৩,৮২৫ ভোট।
মোট ভোটের ৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো: আনিছুর রহমান।
সংরক্ষিত ৩টি মহিলা আসনে কামরুন্নার আন্না, জুলেখা বেগম ও মর্জিনা খাতুন মিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
৯ টি ওয়ার্ডে মোট ৪৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলেও নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন কাউন্সিলর, এরা হলেন সাদিপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডে সুলতান আহমেদ বাবু,নামাজগ্রাম ২ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফুল ইসলাম শরীফ, বেনাপোল ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান, কাগজপুকুর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শাহীনুর রহমান শাহীন, দিঘীড়পাড় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আজিমউদ্দিন গাজী, ভবেরবেড় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদুজ্জামান, গাজীপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মজনুর রহমান, ছোট আচড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাসানুজজামান তাজিম , বড় আচড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কামাল হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
২/১ টি কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিপুল সংখ্যক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের কঠোর নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মত।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় পর্যন্ত ১২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
তবে দুপুরের পর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টুকে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়ে প্রতিপক্ষরা। এ সময় সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামীগের যুগ্ন সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন ও লাঞ্চিত হয়।
বেনাপোল পৌর সভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ৩৮৫ জন। পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ১৬০ ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ২২৫ জন।
তবে, ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ায় কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হয়েছে ধীরগতিতে বলে অভিযোগ ভোটারদের। ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ উৎসবমুখর শান্তিপূর্ণ ছিল। ভোট কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
বেনাপোল পৌর নির্বাচনের মোবাইল প্রতিকের স্বতন্ত্র পরাজিত মেয়র প্রার্থী মফিজুর রহমান সজন অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা বাইরের এলাকা থেকে পৌরসভা এসে মহড়া দিচ্ছে, তারা ভীতির সঞ্চার করছে। কেন্দ্রগুলো থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত বিজয়ী নৌকার প্রার্থী নাসির উদ্দিন বলেন, অভিযোগকারী স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নির্বাচনী অপকৌশল। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকান্ডে পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ