বাগেরহাটে এক রাতে দুটি বিপনী বিতানের সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙে নগদ টাকা সোনার গহনাসহ অন্তত পাঁচ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এই সাতটি ব্যবসা শনিবার গভীর রাতে বাগেরহাট শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের হাজী শামসুদ্দিন প্লাজা ও জ্যাকসন সুপার মার্কেটে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হল রাউন্ড ফ্যাশন, গোল্ড কর্ণার, স্মার্ট চয়েস, ওয়ান নাইনটি নাইন, পারিজাত গার্মেন্টস, রুবাব ফ্যাশন এবং সুরুচি গার্মেন্টস। এর মধ্যে প্রথম চারটি জ্যাকসন সুপার মার্কেটে এবং বাকি তিনটি হাজী শামসুদ্দিন প্লাজায়। তিনটি কসমেটিকস এবং চারটি পোশাকের দোকান।
পারিজাত গার্মেন্টসের মালিক মো. মাহবুবুল আলম কাজল বলেন, শনিবার রাতে বৃষ্টি ছিল। চোরের দল আমার দোকানের সার্টার ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ক্যাশবাক্স ভেঙে নগদ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। তবে তারা কোন পোশাক নেয়নি।
ব্যবসায়ি শারমিন বেগম বলেন, প্রতিদিনের মত শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। সকালে মার্কেটে আসা পাশের দোকানী এসে দেখেন আমার দোকানের সার্টার ভাঙা। তখন তার ফোন পেয়ে দোকানে আসি। আমার দোকানে রাখা কানের দুল, নাকফুল ও একটি আংটি ক্যাশবাক্সে রাখা ছিল। চোরেরা ক্যাশবাক্স ভেঙে সোনার গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে।
হাজী শামসুদ্দিন প্লাজার মালিক ও পোশাক ব্যবসায়ি শেখ বশিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার গভীর রাতে শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পাশাপাশি দুটি বিপনী বিতানের চারটি পোশাক ও তিনটি কসমেটিকস মিলে মোট সাতটি দোকান একই রাতে চুরি হয়েছে। প্রতিটি দোকানের শার্টারের তালা না ভেঙে মাঝ দিয়ে ভারি কোন লোহার রড দিয়ে বাঁকা করে চোরের দল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ অন্তত পাঁচ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। ব্যবসায়িদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পুলিশের টহল জোরদার করার দাবি জানান এই ব্যবসায়ি।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, একই রাতে দুটি বিপনী বিতানে সাতটি দোকানের শার্টার ভেঙে সংঘবদ্ধ চোরের দল নগদ টাকা বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছে এই মার্কেট দুটি অরক্ষিত। এতোবড় দুটি বিপনী বিতানে কোন সিসি ক্যামেরা নেই, নিজস্ব পাহারার ব্যবস্থা নেই। সংঘবদ্ধ চোরের দলকে সনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড