যশোরের মণিরামপুরের দূর্গাপুর গ্রামের গৃহবধূ ফাতেমা খাতুনকে যৌতুকের দাবিতে হত্যার ঘটনায় স্বামী ও ভাসুরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হক। অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের দুই ছেলে সোহাগ হোসেন ও সোহানুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি সোহানুর রহমান জিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন আলীর মেয়ে ফাতেমার সাথে প্রেম ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ২০২২ সালের ১১ জুলাই সোহানুরের সাথে ফাতেমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর সোহানুরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। এরপর আসামি সোহাগের প্ররোচনায় সোহানুর তার স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি ফাতেমা তার পরিবারকে জানায়। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর রাতে আসামিরা ফাতেমার কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করে মারপিট করে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ফাতেমাকে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান। ফাতেমার পরিবার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে যেয়ে মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পায়। এদিন নিহতের পিতা ইয়াসিন আলী শেখ বাদী হয়ে সোহানুর ও তার ভাই সোহাগকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/কেডি