প্রকাশ্যে চাকু মেরে যশোরের মণিরামপুরের জসিম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সাথে জড়িত দুইজনকে আটক ও হত্যায় ব্যবহৃত দুইটি চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডিবির এলআইসি টিম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ আল মামুনের সম্বন্বয়ে একটি টিম দুই দিনের অভিযানে এ রহস্য উদঘাটন করেছে।
আটককৃতরা হলেন, বারান্দী মোল্লাপাড়ার লাল মিয়ার ছেলে নাসির হোসেন (৩০) ও বেজপাড়া আনছার ক্যাম্প এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে জাহিদ @ ডুবার। পুুলিশ জানিয়েছে, আনোয়ারা আনুর সাথে জসিমের পরোকিয়া ছিলো। ওই আনুর নির্দেশে খুন করা হয় মণিরামপুরের জসিমকে। আর সেজন্য ৪০ হাজার টাকায় আনু চুক্তি করেছিলো তার বোনের ছেলে ইব্রাহিমের সাথে। ইব্রাহিম তাদের বন্ধুদের ডেকে খুন করেছিলো জসিমকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মনিরামপুর বাজারে “ভাই ভাই গোল্ডেন ফিস” মাছের আড়ৎ এর ম্যানেজার জসিম ২৬ জুন যশোর শহরের ব্যাটারী পট্টিতে আসেন। এরপর মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত এক মেয়েকে সেখানে ডেকে এনে ফল কিনে মণিরামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সাড়ে সাতটার পর নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ায় পৌছালে আসামিরা জসিমের মোটরসাইকেল থামিয়ে একেরপর এক ছুরিকাঘাত করে সটকে পরে আসামিরা।
পরে স্থানীয়রা জসিমকে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন জসিমের বাবা। এরপর থেকেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার পর বারান্দি মোল্লাপাড়া কবরস্থান এলাকা থেকে নাসির হোসেকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যে রাত আড়াইটায় বেজপাড়া তালতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহিদ ওরফে ডুবারকে আটক করা হয়। তাদের কাছথেকে হত্যায় ব্যবহৃত ২টা চাকু ও ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেন ডিবির ডিবির এলআইসি টিমের এসআই নূর ইসলাম, এসআই(নিঃ) রাজেশ কুমার দাস, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) শরীফ আল মামুন, কন্সটেবল মোঃ আব্দুল বাতেন প্রমুখ।
ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত আরেক আসামি ইব্রাহিম ও তার খালা আনোয়ারা বেগম আনুর জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। তাদেরকে আটকে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড