যশোর শহরতলীর মোমিননগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর দপ্তরি হাইফার আলির (৫০) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ শনিবার সকালে নওদা গ্রামে তার নিজ বাড়ির অদূরে এই মরদেহ উদ্ধার হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত হানেফ আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ১৭ জুন সকাল আট টায় স্থানীয় লোকজন তার বাড়ির অদূরে গলাকাটা লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসী খবর শুনে ঘটনাস্থলে আসেন। সকাল দশটা পর্যন্ত হাইফার আলীর লাশ দেখতে এলাকার শত শত মানুষ এখানে ভিড় জমায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম অবস্থান করে। লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছাড়া কিছুই নয়। তাকে ভয়াবহভাবে গলা কাটা হয়েছে।
তবে মৃত হাইফার আলির চাচা দোকানী এজাজ জানান, ভাইপো হাইফার আলি পারিবারিক দ্বন্দ্বে নিজের গাছি দা দিয়ে নিজেই গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, স্ত্রীর সাথে হাইফার আলীর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এটা এলাকার সবাই জানেন। এটা হত্যাকাণ্ড হলে এ বিষয়টি সামনে এনে তদন্ত করতে হবে।
আবার স্থানীয় সূত্রের দাবি হাইফার আলির সাথে পরিবারে অশান্তি চলছিল। যে কারণে হত্যাকাণ্ড হলে পারিবারিক সংশ্লিষ্টতাও থাকতে পারে।
তথ্য মিলেছে পরিবারে একাংশ সকাল থেকেই প্রচার করছে হাইফার আলী নিজের গলা নিজেই কেটে ফেলে আত্মহত্যা করেছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা আইন প্রয়োগকারি কোন সংস্থার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম