যৌতুক মামলায় সাক্ষী বিদেশে থাকায় যশোর আদালতে প্রক্সি দিতে এসে রমজান আলী নামে এক ব্যক্তি আটক হয়েছেন। পরে তাকে হাজতবাস করতে হয়েছে। মামলার বাদী মেহেরুন্নেছাও পার পাননি। তাকেও একই শাস্তি দেন বিচারক। রোববার (৪ জুন) তারা আদালতে আসলে আইনজীবীদের নজরে ধরা পড়েন।
এরপর বিষয়টি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ উভয়পক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে দু’জনকে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত হাজতে আটকে রাখার নির্দেশ দেন। রমজান আলী যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রামের মালেক মোল্লার ছেলে।
আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গাইদগাছি গ্রামের মৃত ফজর আলী মোল্লার মেয়ে মেহেরুন্নেছা তার স্বামী শাজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় আল আমিন, জালাল, ফসিয়ারসহ ৬ জনকে সাক্ষী করা হয়। রোববার মামলাটির সাক্ষীর দিন ধার্য ছিল। এদিন বাদীর আইনজীবী শাহনাজ আক্তার সাক্ষী আল আমিনের হাজিরা জমা দেবার পর ঘটে বিপত্তি।
সূত্র জানায়, সাক্ষী চলাকালে আসামিপক্ষ বিচারককে বলেন, এই সাক্ষী ভুয়া। আল আমিন বিদেশে থাকায় তার ভাই রমজান আলী সাক্ষী দিচ্ছেন। তৎক্ষণিক উভয়পক্ষের আইনজীবীর কাছে বিষয়টির সত্যতা জানতে চান বিচারক। বাদী পক্ষের আইনজীবী বলেন বিষয়টি জানতাম না। আসামিপক্ষের আইনজীবী যা বলছেন তা সত্যি বলেই মনে হচ্ছে। এক পর্যায়ে সাক্ষী প্রক্সি দিতে আসার কথা স্বীকার করেন। এ সময় সাক্ষী রমজান আলী ও মামলার বাদী মেহেরুন্নেছাকে আটকের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর তাদের হাজত খানায় রাখা হয়। তারা বিকেল পর্যন্ত হাজতবাসের পর ছাড়া পান। আইনজীবী শাহানাজ আক্তার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড