যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার এ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ এক পরীক্ষার্থী ধরা পড়েছেন। তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আটক ভর্তিচ্ছুর নাম রিক্তকোমল মন্ডল নিলয়। তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিলো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক বিল্ডিংয়ের ৩১৫ নম্বর কক্ষে। তার বাবা নাম রামেন্দ্রনাথ মন্ডল ও মায়ের নাম বিচিত্রা মন্ডল।
প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে নিলয় জানিয়েছেন, ফোন বাসা থেকে ভাইব্রেট করা ছিলো। বাসা থেকে ফোন নিয়ে বের হওয়ার পর ভাবছিলাম ফোন রাখবো কোথায়? পরে পকেট থেকে বের করে আন্ডারওয়ারের ভেতর রেখে পরীক্ষা দিতে বসেছি। পরীক্ষা শুরুও হয়েছে। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা সময় পার হওয়ার পর হলের স্যার একটা সিগন্যালে দেখতে পান আমার কাছে ফোন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি একেবারে প্রথম বেঞ্চে ছিলাম। এখানে বসে ফোন বের করে দেখা বা কিছু লেখা সম্ভব ছিলো না। আমি সেকেন্ড টাইমার ছিলাম। আর পরীক্ষা দিতে পারবো না। এটাই আমার শেষ সুযোগ ছিলো। আমার কৃষিগুচ্ছে আর একটা পরীক্ষা বাকি আছে। সেটাতে সুযোগ না হলে আমাকে চরম বিপদে পড়তে হবে।
জানা গেছে, ‘এ’ ইউনিটে মোট আবেদন করেছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৮৭৫টি। ‘এ’ ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ১৭ জন ভর্তিচ্ছু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। ওই শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনটি আন্ডারওয়্যারের মধ্যে রাখায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শনাক্ত হয়নি। পরবর্তীতে পরীক্ষা শুরু হলে তৃতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সিগন্যাল শনাক্তের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ ধরা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বহিস্কার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম