বাগেরহাটের চিতলমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিকদার ও কাজী বংশীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। শনিবার (৬ মে) দুপুর ২ টায় কলাতলা ইউনিয়নের শৈলদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে পাওয়া গেছে।
কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সম্প্রতি শৈলদাহ গ্রামের আমিনুর কাজীর ছেলে সোহানুর কাজী একই গ্রামের আজিম খানের মোবাইল চুরি করে। এ ঘটনায় আজিম বাদী হয়ে ৫ মে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এর জের ধরে শনিবার দুপুরে আমিনুর কাজী ও গাউস কাজীর নেতৃত্বে ২০-৩০ জন লোক জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে হামলা করে।
হামলায় তাঁদের পক্ষের আব্বাস শেখ (৫৬), বিউটি বেগম (৪৫), অসিক শেখ (৭৫), সোহেল শেখ (৩১), আফজাল শেখ (৭৬) ও অলিউর শেখ (৪৫) আহত হন। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আব্বাস শেখের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ কর হয়।
কাজী পক্ষের বোরহান কাজী (২৩) জানান, পূর্বের বিরোধ নিয়ে শিকদারদের পক্ষ হয়ে জাহাঙ্গীর মেম্বারের লোকজন তার এক চাচাকে মারধর করে। পরে লোকজন গেলে সংঘর্ষে তিনিসহ তাঁদের পক্ষের আমিনুর কাজী (৫০), লুৎফর কাজী (৫২) ও তোতা কাজী (৪৮) আহত হন। আহতরা সবাই চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, বংশীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে শিকদার ও কাজীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে শনিবার দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। ওই এলাকার পরিবেশ বর্তমানে শান্ত আছে। কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড