খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

চিতলমারীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার সংবাদ সম্মেলন

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার (০৫ মে) দুপুর ১২টায় চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় প্রেমিকার বড় বোন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রেমিকা ছন্দা রায় তার প্রেমিক অনিমেশের বাড়িতে গিয়ে অনশন করেন। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বার, পুলিশসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা গিয়ে তাকে অনিমেশের সাথে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এরপর অনিমেশের অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রেমিকের সাথে শারিরীক সম্পর্কের কথা উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ছন্দা রায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে চিতলমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের আরুলিয়া গ্রামের আশুতোষ রায়ের মেয়ে ছন্দা রায়ের সাথে বাগেরহাট সদর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের অনন্ত মজুমদারের মেজ ছেলে অনিমেশ মুজমদারের ভালবাসার সম্পর্ক হয়। অনিমেশ তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসে অনিমেশ ছন্দাকে বিয়ের খরচ বাবদ দুই লাখ টাকা দিতে বলে। ছন্দা তাকে এক লাখ টাকা যোগাড় করে দেয়। এরপর অনিমেশ ছন্দাকে তার (অনিমেশের) বাড়িতে গিয়ে উঠতে বলে। ২ মে বিকেলে ছন্দা অনিমেশদের খালিশপুর গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে ওঠে এবং বিয়ের প্রসঙ্গটি তোলে। অনিমেশ তখন বাড়ি ছেড়ে পালায়। ছন্দা বিয়ের দাবিতে ওই বাড়ীতে অবস্থান করে। এ সময় অনিমেশের মা, ভাইসহ অন্যান্য লোকেরা ছন্দাকে গালিগালাজ করে টেনেহিঁচড়ে বাড়ি হতে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ছন্দা বিয়ের দাবিতে অনড় অবস্থানে থাকে।

৩ মে বাগেরহাট সদরের বিষ্ণুপর ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল পাইক, ইউপি সদস্য কৃষ্ণ পদ এবং বাগেরহাট সদর থানার এসআই মো. মাইনুল ইসলাম ও অনিমেশের কাকা শান্ত মজুমদারসহ এলাকার কয়েকজন লোক বিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছন্দাকে বাড়ি পৌঁছে দেন। এরপর অনিমেশকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের বাড়ির লোকেরা চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় প্রতারণার হাত হতে রক্ষা পেতে ছন্দা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বাগেরহাট সদর থানার এসআই মো. মাইনুল ইসলাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে তার সাথে ওই ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য লোকেরা মেয়েটিকে অনিমেশের সাথে দুই সপ্তাহ পর বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর তিনি বাবার বাড়ি চলে যান।

বিষ্ণুপর ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল পাইক জানান, একটি মেয়ে ছেলে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকার খবর পেয়ে থানার এসআই মাইনুলকে নিয়ে যাই। ভালবাসার সম্পর্ক না থাকলে এমনিতে একটি মেয়ে ছেলের বাড়িতে ওঠার সাহস দেখাবে না। ছেলে পক্ষকে বললে তারা ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!