যশোরে ৫০ লাখ টাকা ও ২০ ভরি সোনার গহনা আত্মসাতের অভিযোগে স্ত্রী ও তার প্রেমিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। যশোর উপশহরের ডি-ব্লকের মৃত আদিল উদ্দিনের ছেলে আনিছ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহমেদ অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, উপশহরের সি-ব্লকের মৃত গোলাম হোসেন স্ত্রী ছকিনা খাতুন, ছেলে ইলিয়াছ হোসেন, মেয়ে হালিমা খাতুন ও জামিলা বেগম এবং খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলকার অপরাজিতা ভবনের বাসন্দিা মুস্তাকুর রহমানের ছেলে মাহামুদুর রহমান নোভেদ।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, আনিছ উদ্দিন দীর্ঘদিন সৌদি আরব ছিলেন। ২০১২ সালের ২৭ আগস্ট তিনি মৃত গোলাম হোসেনের মেয়ে জামিলাকে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। তিনি বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন জুয়েলার্স থেকে ২০ ভরি সোনার গহনা কিনে রেখে ছিলেন। এরপর অপরিজিতা ভবনের ৭ম তলায় একটি ফ্লাট কিনে বসবাস করেন। এরমধ্যে একই ভবনের ১০ম তলার বাসিন্দা নোভেদের সাথে পরকিয়া গড়ে তোলে জামিলা। ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট আনিছ উদ্দিন আবারও সৌদি আরব চলে যান। মাঝে মধ্যে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। সৌদি আরব থাকাকালিন আনিছ উদ্দিন বিভিন্ন মাধ্যমে স্ত্রীর কাছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা পাঠান। ২০২২ সালে ৭ নভেম্বর আনিছ দেশে ফিরে আসেন এবং স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত টাকা ও গহনার হিসাব চান। হিসাব চাওয়ায় জামিলার সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। বিষয়টি জামিলার পরিবারকে জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি। একপর্যায়ে জমিলা তার বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। চলতি বছরের ১৪ মার্চ উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের এক শালিসে আসামিরা টাকা ও গহণা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করলেও ফেরত দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি